Image description
 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চলমান পাঁচটি ব্যাচের (১৬,১৭,১৮,১৯,২০তম) শিক্ষার্থীরা বিশেষ বৃত্তি পাচ্ছেন। তবে এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ২০১৯-২০ সেশন অর্থাৎ ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শারমিন।

 

বিশেষ বৃত্তির আওতা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা দাবি করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহান প্রামানিক তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ১৫ তম আবর্তনকে বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আর কয়েকমাসের মধ্যে এরা ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে যাবে। জুলাই থেকে জানুয়ারি এই কয়েকমাসের বৃত্তিটা এদের দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান করছি। আশা করি জবি প্রশাসনের নেওয়া অসঙ্গত  সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।

 

বাংলা বিভাগের ১৫তম আবর্তনের আরেক শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমন ফেসবুক পোস্টে লিখেন, প্রতিটি আন্দোলনে ১৫তম ব্যাচ, সবার আগে রাজপথে ছিলো। জবিয়ানের স্বার্থে একচুলও ১৫ ব্যাচ ছাড় দেয়নি।

 

সুতরাং, ১৫তম ব্যাচকে ভুলেও বৃত্তির আওতার বাহিরে রাখার চিন্তা করবেন না।

না হয় আবার আন্দোলন শুরু হবে,দাবানলের আকার ধারণ করবে,পরবর্তীতে চাইলেও সেই আগুন থামাতে পারবেন না।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান লিখেন,যদি মাস্টার্সে অধ্যয়নরতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে কোন যুক্তিতে আপনি তাদেরকে আবাসন বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করবেন? 

প্রশাসন কী তাদেরকে হলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে? যদি না দিয়ে থাকে তাহলে তাদেরকেও তো মেসে থাকতে হচ্ছে। তাদেরও তো মেস ভাড়া দিয়ে থাকতে হয়।১৫ ব্যাচকে আবাসন বৃত্তির বাইরে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিশেষ বৃত্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন,বিশ্ববিদ্যালেয়ের রানিং ৫টা ব্যাচ এই বৃত্তির আওতায় থাকবে সেক্ষেত্রে ১৬,১৭,১৮,১৯ ও ২০ ব্যাচ অগ্রাধিকার পাবে। 

১৫ ব্যাচ বৃত্তি আওতায় থাকবে কি না এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় তারা বৃত্তির আওতায় থাকছে না তবে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।