
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “পিআর বুঝি না” এই কথা কোনো রাজনৈতিক নেতা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তির মুখে শোভা পায় না। জনগণ এই পদ্ধতি চায় কি না, সেটা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটে নির্ধারণ করা হোক। জনগণ যদি পিআর পদ্ধতির পক্ষে রায় দেয়, তবে সব দলকেই তা মেনে নিতে হবে। আর যদি জনগণ না চায়, জামায়াত সেটি মেনে নেবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদকে অবশ্যই আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং পিআর পদ্ধতিকে এর অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত যাচাই করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই গণভোটের আয়োজন করা গেলে তা হবে জনগণের প্রকৃত মতের প্রতিফলন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সকালে খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) ডুমুরিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, পথচারী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সালাম, শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, ছাত্রশিবির উপজেলা সভাপতি আবু তাহের, পশ্চিম শাখা সভাপতি শামিদুল হাসান লিমন, উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে, যার মধ্যে ৮৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে কিছু প্রস্তাবে দলগুলোর ভিন্নমতের কারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করেছে। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সনদে সংশোধনীসহ তাদের মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখে আসছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ইতোমধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী বারবার আহ্বান জানিয়েছে কালো টাকা, পেশিশক্তি, ভোট কেন্দ্র দখল ও মনোনয়ন বাণিজ্যের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের সুযোগ থাকবে না। এ কারণেই একটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি চায় না।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমানুল্লাহ হালদার, মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন প্রমুখ।
বিকেল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভোটার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ আল আজাদ। পরিচালনায় ছিলেন গৌতম ফৌজদার ও ফরিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, উপজেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তুহিনুজ্জামান, অধ্যাপক নিহার কান্তি মহলদার, ডা. নিত্য রঞ্জন রায়, সুজিৎ কুমার সরকার, বাবু দেবাশীষ মন্ডল ও অধ্যাপক রঞ্জন তরফদার প্রমুখ।