
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ হলো ‘আমির’। বর্তমানে দলটির আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. শফিকুর রহমান। যিনি দ্বিতীয় মেয়াদে এ দায়িত্বে রয়েছেন। তার মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় আমির নির্বাচন। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সারা দেশে জামায়াতের ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি রুকন বা সদস্য আছেন। যাদের ভোটে আমির নির্বাচিত হয়। গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) থেকে দলের আমির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ভোট শুরুর আগে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা আমির নির্বাচনে তিনজনের একটি সম্ভাব্য প্যানেল নির্ধারণ করেছেন। এই প্যানেলে রয়েছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
দলটির রীতি অনুযায়ী সাধারণত এ প্যানেল থেকেই একজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কিন্তু রুকনরা চাইলে এর বাইরের কাউকেও ভোট দিতে পারবেন।
জামায়াত কর্মীরা জানান, বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি ও মানবিক সহমর্মিতার কারণে দলে এবং সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর দলীয় কার্যক্রমে তার ভূমিকা ইতিবাচকভাবে সবার নজর কেড়েছে।
তিনি দলটির নেতৃত্বে আসার পর থেকে তার দূরদর্শিতায় দলের অবস্থা ভালো হয়েছে। তার সংস্কারমুখী ও যুগোপযোগী চিন্তাভাবনা ও কথা-কাজের কারণে ছোটবড় সব শ্রেণির মানুষের কাছেই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তার নেতৃত্বের কারণে দলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।
তবে দলের অভ্যন্তরে বিকল্প ভাবনাও রয়েছে। সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের প্রতিও অনেকের সহানুভূতি রয়েছে।
ভোট শুরু হলে প্রতিটি জেলায় দলের নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনীত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা গিয়ে ভোট সংগ্রহ করেন। এই ভোটপ্রক্রিয়া নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর গণনাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তখনই জানা যাবে কে হচ্ছেন নতুন আমির।
এ বিষয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, এবারে নির্বাচনে ২০২৬-২৮ মেয়াদের জন্য নতুন আমির নির্বাচিত হবেন। যিনি সর্বাধিক ভোট পাবেন তিনি আমির নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নভেম্বরেই নতুন আমির শপথ গ্রহণ করবেন।