
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কারাকাসে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস। তারা এই সিদ্ধান্তকে শান্তির মূল দর্শনের অবমাননা বলে উল্লেখ করেছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বার্তায় ইরানের দূতাবাস বলেছে, ‘গাজায় গণহত্যাকে সমর্থন এবং ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একজন ব্যক্তিকে শান্তির পুরস্কারে ভূষিত করা, পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষপাতদুষ্ট ও হস্তক্ষেপমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জ্বলন্ত উদাহরণ।’
দূতাবাস আরও জানায়, এই পদক্ষেপ শান্তি ধারণার প্রতি একপ্রকার ব্যঙ্গ এবং আন্তর্জাতিক নীতির ওপর আঘাতের সামিল। এর আগে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ঘোষণা দেয় যে, মারিয়া করিনা মাচাডোকে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে অবদান রাখার জন্য চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকদের মতে, মাচাদোর কট্টর ইসরাইলপন্থী অবস্থান এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে তার বিতর্কিত মন্তব্য পুরস্কার প্রাপ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মাচাদো এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি ভেনেজুয়েলার দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন দখলকৃত জেরুজালেমে (আল-কুদস), যা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান থেকে ভেনেজুয়েলাকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
এছাড়াও তার রাজনৈতিক দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’ ইতোমধ্যেই ইসরাইলের শাসক দল লিকুড পার্টির সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি বহন করে।
মার্কিন রাজনীতিতেও মাচাদোর অবস্থান স্পষ্ট। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাকে ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের ‘সেরা সুযোগ’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।