
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে। তিনটি তামাশার নির্বাচনের পরও তারা সেটিকে সফল নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনার গলায় মালা পরিয়েছে। এটি প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশের জনগণের নয়, বরং একটি দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গত ১৭ বছরে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও সহায়তা দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘২৪ জুলাই যোদ্ধা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির’ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যেই শহীদ ও আহত পরিবারের জন্য নিজ ফান্ড থেকে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকার গঠনের পর এ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করা হবে।
দুদু বলেন, বিএনপি এখনো পর্যন্ত ক্ষমতায় যায়নি, বিএনপি তো এখন ক্ষমতায় নেই, এমপি নেই, সরকার নেই—তাহলে ব্যর্থতার দায় বিএনপির কেন? দেশে যা কিছু ঘটছে তার দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানো অনুচিত। দেশে একটি সরকার আছে, সেই জায়গাটাতেই নজর দিতে হবে।
তিনি তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বিবিসি সাক্ষাৎকারের প্রশংসা করে বলেন, সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও হৃদয়স্পর্শী। সেখানে তিনি দেশের সমস্যাগুলো খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে। তিনটি তামাশার নির্বাচনের পরও তারা সেটিকে সফল নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনার গলায় মালা পরিয়েছে। এটি প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশের জনগণের নয়, বরং একটি দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা খুনি সরকারকে বিদায় করেছি, তবে কাজ এখানেই শেষ নয়। এখন দরকার একটি সত্যিকারের জাতীয় নির্বাচন এবং গণভিত্তিক সরকার গঠন। যতদিন তা না হবে ততদিন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করা যাবে না।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমত উল্লাহ, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবার।