
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নে বিএনপির রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। ২০১৪ সালে ফুলের তোড়া হাতে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া রফিকুল এখন আবার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ দলবদলের নাটক ঘিরে তৃণমূল বিএনপিতে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হকের হাতে ফুলের তোড়া তুলে রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার নেতৃত্বে আরও ৩৯ জন বিএনপি নেতাকর্মী তখন দল পরিবর্তন করেছিলেন।
সম্প্রতি তিনি আবারও বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ফরমও কিনেছেন তিনি।
তৃণমূল নেতারা বলছেন, রফিকুল ইসলাম একজন হাইব্রিড নেতা, দলের দুঃসময়ে আওয়ামী লীগে গিয়ে এখন সুদিনে ফিরে আসছেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ পূর্বে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে থাকে, তার পুনরায় বিএনপিতে অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, যথাযথ তথ্য উপস্থাপন করলেও রফিকুলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তৃণমূলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করে হাইব্রিড রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে নলতা ইউনিয়নে বিএনপির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক চাপে পড়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম, তবে লিখিতভাবে পদত্যাগ করিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রফিকুল ইসলামের এই দলবদল রাজনীতি স্থানীয় বিএনপির ভেতরে আস্থার সংকট তৈরি করছে, যা সংগঠনের ঐক্য ও নেতৃত্ব কাঠামোয় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।