Image description

অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হচ্ছে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। এই প্রতীককে ইসলামের দুশমনরা এতটাই ভয় পায়, যার কারণে তারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। কারণ দেশে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র গ্যারান্টি এই প্রতীক। 

শুক্রবার সকালে জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জামিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবিরে তিনি এসব কথা বলেন।  

শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ১৯৪১ সালে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দিয়ে জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। সেই কার্যক্রম সঠিক হিসেবে ২০২৪ সালে এদেশের ছাত্র-জনতা উপলব্ধি করতে পেরেছে। যার ফলে ছাত্র-জনতা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। 

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জনগণের সমর্থনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলে বাংলাদেশে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে বের করে আনা হবে। 

ড. মাসুদ আরও বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে মক্কার কাফেররা আল-আমিন উপাধি দিয়েছে। কিন্তু যখনই মুহাম্মদ (সা.) মানুষের তৈরি মতবাদ থেকে বের হয়ে কুরআনের আইন ও রাজত্ব প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, তখনই কাফেররা তাকে আক্রমণ করেছে। সাহাবিদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে সেখানে কুরআনের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয় এবং সমাজে শান্তি নিশ্চিত হয়। 

ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়ে ইসলামের বিজয়ের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতার রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়ে ইসলামের বিজয়ের সূচনা শুরু হয়েছে। পূর্ণ বিজয়ের জন্য তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসলামের পক্ষে ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে এখন থেকেই যারা চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে লিপ্ত তারা জনগণকে চুষে খাবে। এদের শোষণ থেকে রক্ষা পেতে হলে ইসলামী রাষ্ট্রের বিকল্প নাই।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মুহাম্মদ মমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষা শিবিরে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল (দক্ষিণ) পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলনসহ জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।