Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম মোমতাজুল করিমের একটি বক্তব্যকে জামায়াত নেতার বক্তব্য হিসেবে সম্প্রতি ফেসবুকে শেয়ার করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ব্যক্তিগত পেজ থেকে দেওয়া পোস্টটি পরে শেয়ার করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

ছাত্রদল নেতার পোস্টে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘জামায়াতের একজন এমপি হওয়ার জন্যে ভোট চাচ্ছে। এমপি যদি একবার হতে পারে তাহলে ১টা খুনের বদলে ১০টা খুন করবে। তাও আবার ভোটারের দরজার সামনে গিয়ে এমন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। জামায়াতে ইসলাম কি আসলেই ইসলাম? একটি খুনের বদলে ১০টি খুন কী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক? সব হুজুর কিংবা মুসলমান কিন্তু এত এগ্রেসিভ না। দ্বিধাবিভক্ত মুসলমানদের জামায়াতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এ তথ্যটি পরে গুজব হিসেবে নিশ্চিত হওয়া যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ তার মূল পোস্টটি ডিলিট করে একই বক্তব্যসহ ভিডিওটি শেয়ার করেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, ভিডিওর আলোচিত ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা নন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বক্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি একবার এমপি হতে পারি! একটা খুনের বদলে ১০টা খুন ঘটাইয়া দিবো!’ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ও ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, আলোচিত ব্যক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী নন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি এবং সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী ডা. মোমতাজুল করীম।

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি দাবি করেছেন যে, ‘আমাদের দেশে একটা খুন হলে রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে ১০টা খুন ঘটে যায়। বাক্যটি বলতে গিয়ে ভুলক্রমে আলোচিত কথাটি বলে ফেলেছি।’ 

এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তাকে পোস্টটি দেখানো হলে তিনি জানান, ‘এই ফেসবুক আইডিটি আমার নয়। কে বা কারা এটি চালাচ্ছে, আমি জানি না। আমি আইনি ব্যবস্থা নেব এই আইডির বিরুদ্ধে।’

তবে তার ফোনালাপ শেষ হওয়ার পরপরই ওই আইডি থেকে পোস্ট করা ভিডিওটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।