
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, যখন এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে এবং অধিকাংশ বিষয়ে ঐক্যমত তৈরি হয়েছে, তখন হঠাৎ করে কর্মসূচি ঘোষণার উদ্দেশ্য কী?
তিনি বলেন, “আলোচনা এখনো শেষ হয়নি, বরং বেশিরভাগ বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাঝপথে কর্মসূচি ঘোষণা করে দেশের মানুষকে কী বোঝাতে চাইছে তারা? তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যায়। যদি সবাই রাস্তায় নেমে দাবি আদায় করতে শুরু করে, তাহলে এই দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন কী ছিল?”
আমীর খসরুর মতে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। সব বিষয়ে ঐক্যমত হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে যেখানে ঐক্যমত হয়েছে, সেখানেই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। আর যেখানে হয়নি, সেখানে জনগণের কাছে গিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যান্ডেট নিতে হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার অধিকার কেবল জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণ সে ক্ষমতা দেয়নি। তাই নির্বাচিত সংসদ ও সরকারই জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য সবাই কর্মসূচি দেয়, তাহলে তো ঐক্যমত কমিশনের আর কোনো প্রয়োজন ছিল না। এত দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার দরকারই বা কী ছিল? যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারা কি দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিতে চাইছে? তারা কি বাংলাদেশকে ফেইল স্টেট বানাতে চাইছে?”
আমীর খসরু বলেন, যারা কর্মসূচি দিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য সত্যিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া কিনা, সেটাও প্রশ্নের বিষয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি সবাই এখন রাস্তায় নামে, তাহলে দেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য সেটা মোটেও ইতিবাচক হবে না।”