
রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড ধরে একটু সামনে এগোলেই ১৬ তলা একটি ভবন। নাম জামান টাওয়ার।
ভবনটির ছাদে গিয়ে গত ১১ আগস্ট ও ১৪ সেপ্টেম্বর দেখা যায়, সেখানে তিনটি কক্ষে তিনটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়—ন্যাশনাল লেবার পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি) এবং দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন। রয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মহানগর কার্যালয়। ভবনটির ষষ্ঠ তলায় রয়েছে আরেকটি দলের কার্যালয়, নাম আমজনতার দল।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ও আমজনতার দল গঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত আরেক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) কার্যালয় রয়েছে জামান টাওয়ারে। সেটাও ছাদে।
জামান টাওয়ারসহ পল্টন ও আশপাশের তিনটি ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, এসব ভবনে রয়েছে ১৪টি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং একটি দলের মহানগর কার্যালয়।
শুধু এই ১৪টি দল নয়, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে নিবন্ধন কার্যকর থাকা ৫০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে পল্টন ও এর পার্শ্ববর্তী তোপখানা রোড, কাকরাইল, গুলিস্তান, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা ও মতিঝিলে। এসব এলাকায় রয়েছে আরও ১৬টি দলের কার্যালয়, যাদের নিবন্ধন নেই।
সব মিলিয়ে পল্টন যেন রাজনীতির ‘রাজধানী’; আর এই ‘রাজধানী’র উপকণ্ঠ (প্রান্ত) হলো তোপখানা রোড, কাকরাইল, গুলিস্তান, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা ও মতিঝিল।
পল্টন তখন
ঢাকা যখন পুরান ঢাকা ছাড়িয়ে বাড়তে থাকে, তখন যেসব এলাকায় বসতি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করে, তার একটি পল্টন। বাংলাপিডিয়ার তথ্য বলছে, পল্টনের আয়তন ১ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার।
মুনতাসীর মামুনের ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী বইতে বলা হয়েছে, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, তোপখানা থেকে শুরু করে আনুমানিক ফুলবাড়িয়া রেললাইন অবধি একসময় ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনানিবাস।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ধারণা, ১৮৪০ সাল থেকে সেনানিবাস সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং উনিশ শতকের মধ্যভাগের পরও হয়তো সেনানিবাসের কিছু অংশ ওই এলাকায় ছিল। উনিশ শতকের শেষার্ধে পল্টনের মাঠে ক্রিকেট খেলা হতো। মাঝেমধ্যে জনসভাও হতো।
বইটিতে আরও বলা হয়েছে, এ শতকের তৃতীয় দশক পর্যন্ত পুরানা পল্টনে লোকবসতি তেমন ছিল না। পল্টনের মাঠ হিসেবে যে জায়গা পরিচিত ছিল, সেটি চল্লিশের দশক পর্যন্ত ছিল ফাঁকা ময়দান। একপর্যায়ে পল্টনের মাঠ বা ‘পল্টন ময়দান’ খ্যাত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক সভার স্থান হিসেবে। ১৯৫৩ সালে রোকেয়া কবির, লায়লা সামাদের উদ্যোগে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মহিলা সমাবেশ। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়লাভের পর পল্টনের ময়দানে জনসভায় ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে। ষাটের দশকে গণ-আন্দোলনের সময় পল্টনের মাঠের ছিল বিশেষ ভূমিকা।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার মতে, পল্টনের এই রাজনৈতিক ইতিহাসের কারণেই সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয় গড়ে উঠেছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যখন দলগুলো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তখন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ছিল গুলিস্তান। এ কারণে আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কেন্দ্রীয় কার্যালয় করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে (এখন শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ)। বিএনপিও এ এলাকার গুরুত্বের কারণে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে নিয়ে আসে।
জামান টাওয়ারের ছাদে ৪ দল
পল্টনে বহু বহুতল ভবন রয়েছে। বেশির ভাগই বাণিজ্যিক। তবে আবাসিক ভবনও রয়েছে। বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়া অনেক। বিজ্ঞপ্তি ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতি বর্গফুটের মাসিক ভাড়া ৮০ থেকে ১২০ টাকা।
জামান টাওয়ারও পল্টনের পরিচিত একটি ভবন। সেখানে ভাড়া চড়া। ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের পক্ষে এত ভাড়া দেওয়া কঠিন। তাই তাদের স্থান ছাদে। ভবনটির ছাদে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি জায়গায় পুরোনো জিনিসপত্র ও আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা প্রাচীরে শেওলা জমেছে। রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের বাইরের দেয়ালে পলেস্তারাও নেই।
ছাদের বড় অংশ খালি। একটি অংশে সাতটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথম কক্ষটি লেবার পার্টি ও জাগপা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছিল। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর গিয়ে দেখা যায়, জাগপার নাম নেই। দেয়ালে থাকা জাগপার স্লোগানগুলো মুছে দেওয়া হলেও কিছু রয়ে গেছে।
জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যখন কোথাও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় করার মতো কক্ষ ভাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন জামান টাওয়ারের মালিক এগিয়ে এলেন। সেখানে একই কক্ষে সমঝোতার ভিত্তিতে জাগপার মহানগর কার্যালয় ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়। তবে চুক্তি হয়েছে জাগপার নামে। সেভাবেই চলছে। তিনি বলেন, মহানগর কার্যালয়ে দেয়াললিখন ও লেখা নাম মুছে ফেলার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
পাশেই আরেকটি কক্ষে জনতার অধিকার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে তারা এ কার্যালয় ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএনপি–ঘনিষ্ঠ দলটি জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের অংশ ছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর জোটের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম।
জামান টাওয়ারের ছাদে লেবার পার্টি ও জনতার অধিকার পার্টির কার্যালয়ের মাঝখান দিয়ে একটি পথ ভেতরের দিকে গেছে। একটু এগোলেই দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গত আগস্ট মাসে তিন দিন গিয়েও দলটির কার্যালয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ছাদের অন্য চারটি কক্ষের একটি আপ বাংলাদেশের কার্যালয়, একটি পল্টন থানা বিএনপির সাবেক এক নেতার কার্যালয়, একটিতে মালিকপক্ষের লোকজন থাকেন এবং আরেকটি ফাঁকা রয়েছে।
জামান টাওয়ারের মালিক ও আমজনতার দলের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এটি তাঁর পরিবারের বাড়ি। অনেক আগে সেখানে তিনতলা একটি ভবন ছিল। তখন থেকেই এটি ‘রাজনৈতিক বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো খুব সহজে কক্ষ ভাড়া পায় না। আমরা তাদের রাজনীতিকে উৎসাহিত করতে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দিয়েছি।’
এক ভবনে সাত দল
পল্টনের কাছেই জাতীয় প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবের বিপরীতে সরু গলির ভেতরে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ ভবন। তোপখানা রোডের এই ছয়তলা ভবনে রয়েছে সাতটি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সাত দলের দুটি নিবন্ধিত—বাংলাদেশ জাসদ ও নাগরিক ঐক্য। বাকিগুলো হলো জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন পার্টি, সংবিধান বিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি-সংগঠন (সিএপিপি), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-সিপিবি (এম) ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) দল।
এক ভবনে তিন দল
জামান টাওয়ার থেকে প্রায় ১৫০ মিটার সামনে গেলে নয়াপল্টন মসজিদ গলির ৮৫/১ নম্বর ভবনে রয়েছে তিনটি দলের কার্যালয়। তিনটিই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল। গত মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যেসব দলের বৈঠক হয়েছে, সেখানে এই দলগুলোও ছিল। দলগুলো হলো বাংলাদেশ লেবার পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি। তবে কোনো দলই নিবন্ধিত নয়।
দুই দিন তৃতীয় তলায় গিয়ে লেবার পার্টির কার্যালয় বন্ধ পাওয়া গেছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, কার্যালয়টি দিনের বেশির ভাগ সময়ই তালাবদ্ধ থাকে।
চতুর্থ তলায় এককক্ষে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের কার্যালয়। গত ১৪ আগস্ট দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, দলটির চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন ও তাঁর এক ব্যক্তি বসে গল্প করছেন। ছোট কক্ষটিতে একটি টেবিল আর কয়েকটি চেয়ার রয়েছে।
ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর তাঁরা এ কার্যালয় ভাড়া নিয়েছেন। গঠনতন্ত্র দেখতে চাইলে বলেন, অফিসে নেই, বাসায় আছে।
ভবনটির ষষ্ঠ তলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ জন–অধিকার পার্টির কার্যালয়। কয়েক মাস আগে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় বানানো হয়। তবে নিয়মিত আসা-যাওয়া নেই। তেমন কর্মসূচির কথাও জানা যায়নি। আগস্ট মাসে তিন দিন গিয়ে কার্যালয়টি বন্ধ পাওয়া গেছে।
মুঠোফোনে কল করা হলে দলের চেয়ারম্যান ইসমাইল সম্রাট জানান, ঢাকায় তাঁদের ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা অফিস রয়েছে।

বিএনপির কার্যালয়ও নয়াপল্টনে
বিএনপির কার্যালয়ও নয়াপল্টনে। তবে শুরুতে তা সেখানে ছিল না। লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের ‘বিএনপি সময়-অসময়’ বইয়ে বলা হয়েছে, ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল বা জাগদল’ নামে একটি রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৭৮ সালের ২৮ আগস্ট তিনি দলটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেন।
দলটির প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে। ১৯৮০ সালের দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থানান্তর করা হয় নয়াপল্টনে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় মগবাজার হলেও পুরানা পল্টনে দলটির মহানগর কার্যালয় রয়েছে। পল্টনের কাছাকাছি কাকরাইলে রয়েছে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সেখানে গত এক বছরে দুই দফা হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি বলছে, এ হামলা করেছে গণ অধিকার পরিষদ। তবে গণ অধিকার পরিষদ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসলামপন্থী অনেকগুলো দলের কার্যালয়ও পল্টন ও আশপাশের এলাকায়। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরানা পল্টনে।
বেশির ভাগ ইসলামপন্থী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেন পুরানা পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকায়, এমন প্রশ্ন করা হলে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগে পল্টন ময়দানে বড় বড় কর্মসূচি করা হতো। ইসলামপন্থী দলগুলোর বেশির ভাগ কর্মসূচিও আগে থেকেই বায়তুল মোকাররমের সামনে হতো। কাছাকাছি রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব, যেখানে সারা বছরই কর্মসূচি থাকে। এসব কারণে ইসলামপন্থী দলগুলো তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনে নিয়ে থাকতে পারে।
কেন এত দল
দেশে একের পর এক রাজনৈতিক দল গঠন করা হচ্ছে। জুনে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের আবেদন করেছিল ১৪৭টি দল। বেশির ভাগ দল নামসর্বস্ব।
ছোট ছোট দল গঠনের পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ ৭ সেপ্টেম্বর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সবার রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকে, তবে বড় দলগুলোর মতো পুঁজি থাকে না। এ কারণে বড় দলগুলো হলো সুপারশপের মতো, আর ছোট দলগুলো মুদিদোকানের মতো ‘ওয়ান ম্যান শো’। এই ছোট দলগুলো কী চায়, সেটি অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাও জানে না।
মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বড় দলগুলো ছোট দলগুলোকে তাদের জোটে রাখে, যাতে এসব দল বিপক্ষ দলের জোটে যেতে না পারে। আবার বড় দলের জোটে থাকলে ছোট দলগুলো ছিটেফোঁটা কিছু পায়। নির্বাচনে আসন পায়, সেটি না পেলে উপজেলা চেয়ারম্যান বা ব্যবসায়ের ঠিকাদারি পায়। এভাবে তাদের পারস্পরিক সুবিধাই হয়।