
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। বিপরীতে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলের। মোট ২৮টি পদের মধ্যে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি প্যানেলটি। এর আগে ২০১৯ সালে ‘আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত’ ডাকসু নির্বাচনেও এই দুরবস্থা ছিল বিএনপির ভ্যানগার্ড খ্যাত এই ছাত্রসংগঠনটির। ফলে ছাত্রদল টানা দ্বিতীয়বার কোনো পদেই জয়লাভ করতে পারেনি দেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ডাকসুতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচনের এক মাস আগেও মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়ের শুরুতে এই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা ছাত্রদল— এ নিয়ে একধরনের দ্বিধা ছিল তাদের মাঝে। সে সময় বিএনপি থেকেও কোনো সিগন্যাল পাননি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। এদিকে, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে, অর্থাৎ নির্বাচনের একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে ছাত্রদলের কোন পর্যায়ের নেতারা ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে যারা অপেক্ষাকৃত জুনিয়র অর্থাৎ ক্যাম্পাসের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সর্ম্পক বেশ ভালো তাদেরকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে বলে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খানকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যদিও এর আগে ছাত্রদলের সিনিয়ররাও এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এমনকি অনেকেই মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এই নির্বাচনে ভরাডুবির পেছনে যথাযথ প্রস্তুতি ও সঠিক পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। ফলে শেষ মুহূর্তে এসে নেতা ও প্রার্থীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে সংগঠনটির নেতাদের গ্রুপিং ও যোগ্যদের অবমূল্যায়ন করার কথা; এবং এটাকেও ডাকসুতে ভরাডুবির একটি বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে ছাত্রদলের প্যানেলের। এ জন্য কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি চাচ্ছেন ছাত্রদলের অনেকেই। তাদের দাবি, ছাত্রদলের বর্তমান দুই কমিটির নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও এক বছরে তারা সংগঠনকে গোছাতে ও শক্তিশালী অবস্থানে নিতে পারেননি।
যদিও বিএনপির নেতারা বলছেন, ডাকসু নির্বাচনের পরাজয়, নানা ত্রুটিবিচ্যুতি এবং বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করা হবে। তারপর অংশীজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনে ছাত্রদলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হবে।
অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্রীয় ও ঢাবি ছাত্রদলের কমিটির মতো ডাকসুতেও ছিল ছাত্রদলের ‘মাই ম্যান’ রাজনীতি। ফলে নেতৃত্বের গুণাবলিকে প্রাধান্য না দিয়ে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের অনুসারীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে প্যানেলে। এর ফলে ত্যাগীদের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত নতুন, অপরিপক্ব ও সুবিধাবাদিরা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। পরবর্তীতে এরই প্রভাব পড়েছে ফলাফলে। পাশাপাশি সংগঠনটির নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পালস বুঝতে না পারাকেও দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসাথে ক্যাম্পাসে শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি, হলের বাইরে থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারার কারণও এ নির্বাচনে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে বলে তারা মনে করেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর ইউনিট হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই দুটি কমিটির গঠন ও ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সবই নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি। এর ফলে কমিটি গঠন থেকে শুরু করে ভেঙে দেওয়া সব ধরনের সিদ্ধান্তে বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রভাব রয়েছে। বর্তমানে সাবেক একাধিক নেতার বলয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রদল। এর মধ্যে প্রায় সবাই সংগঠনটির সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ডাকসুর ছাত্রদলের প্যানেলে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগ অনুসারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সংগঠনে জনপ্রিয় রয়েছে এমন নেতাদের পদ-পদবি দেওয়া হয়নি তাদের বাইরের বলয়ের নেতাদের অনুসারীদের। যার ফলে ২৮ সদস্যের প্যানেলে একবারে নিষ্ক্রিয় ও নতুন মুখ যেভাবে পদ পেয়েছেন, সেভাবে ত্যাগীদের একটি বড় অংশ বাদ পড়েছেন। নতুবা প্যানেলে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের সদস্য পদে মো. জারিফ রহমান ২১৮৩ ভোট পেয়েছেন; যা এই প্যানেলের সদস্য পদে তার অবস্থান দ্বিতীয়। ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, জারিফ বেশ যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের রাজনীতি না করায় প্যানেলে সদস্য পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। যোগ্যতায় আসলে তিনি অন্তত কোনো সম্পাদকীয় পদ পেতেন।
জানা গেছে, ছাত্রদলের প্যানেলে এবার ভিপি হিসেবে লড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে লড়েছিলেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ। তাদের মধ্যে আবিদ ২০১৫-১৬ সেশনের এবং হামিম ও মায়েদ ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। আবিদ ২৪-এর জুলাইয়ের আলোচিত নাম ও হামিম ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী কাজ করে বেশ পরিচিত লাভ করেন। ফলে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী এসব পদে দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছিল।
তবে শীর্ষ এই দুই পদেও ছাত্রদলের ‘মাই ম্যান’ রাজনীতি চলেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির একাধিক সূত্র। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমের ‘মাই ম্যান’ হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করেন, আবিদ যদি ভিপি হিসেবে জয়ী হতেন, তাহলে শ্যামল মালুম আগামীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের যেকোনো একটিতে আসতে জোর লবিং করতেন।
আর হামিমের ক্ষেত্রেও একই। তিনি ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভুঁইয়া ইমনের ‘মাই ম্যান’ হিসেবে পরিচিত। হামিমকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যক্তিগত নানা কর্মসূচি করতে তারা সহায়তা করতেন। ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, হামিম যদি জিএস হিসেবে জয়ী হতেন, তাহলে আগামীতে তাকে ঢাবি ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদের যেকোনো একটিতে আসতে জোর লবিং করতেন তারা। আর এই তিন নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের শীর্ষ পদে আসতে জোর লবিং করতেন।
এছাড়া, এজিএস পদে লড়েছিলেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ। তিনি বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক। আবিদ-হামিমের মত তার পরিচিত না থাকলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের প্রার্থী হিসেবে ডাকসু প্যানেলে স্থান পান তিনি।
ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল ছাত্রদল। আর গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদটি জুলাই আন্দোলনে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর ‘সম্মানে’ খালি রাখা হয়েছিল। ভিপি, জিএস ও এজিএস পদ ছাড়া বাকিগুলোও ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, প্যানেলে শীর্ষ দুই পদে ‘মাই ম্যান’ না পেয়ে অন্যান্য পদগুলোর দিকে নজর বেশি ছিল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবের। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান ছাড়াও সদস্য পদে নাহিদ হাসান, সামসুল হক আনান ও সদস্য ইবনু আহমেদ তার হাত ধরে নির্বাচন করেন।
এজিএস মায়েদ ছাড়াও প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের কর্মী ছিলেন ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান। এছাড়া সদস্য পদে রঞ্জন রায়ও তার অনুসারী বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, প্যানেলে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহসের ‘মাই ম্যান’ ছিলেন সদস্য প্রার্থী মো. শামীম রানা। আর ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের ‘মাই ম্যান’ ছিলেন পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা। তাছাড়া সদস্য পদে মাহমুদুল হাসানও তার অনুসারী বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভুঁইয়া ইমন। তার লোক হিসেবে ডাকসুতে প্রার্থী হয়েছেন মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান মুন্না, ছাত্র পরিবহণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ্ (সাইফ), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা এবং সদস্য পদে মেহেরুন্নেসা কেয়া ও নিত্যানন্দ পাল।
এছাড়াও প্যানেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার অনুগত হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও সদস্য পদে ইয়াসিন আরাফাত আলিফ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকের ‘মাই ম্যান’ হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক; ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. আরকানুল ইসলাম রূপক ও সদস্য মো. হাসিবুর রহমান সাকিব।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমানের ‘মাই ম্যান’ হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন সদস্য মুনইম হাসান অরূপ; সদস্য পদে মো. জারিফ রহমান ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম কাজলের রাজনীতি করেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমের ‘মাই ম্যান’ হিসেবে প্যানেলে এসেছিলেন ভিপি আবিদুল ইসলাম ও সদস্য সোয়াইব ইসলাম ওমি, তবে তারা যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের রাজনীতি না করায় প্যানেলে সদস্য পদ নিয়ে ওমিকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বলে ছাত্রদলে গুঞ্জন রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রথমত-ডাকসুতে নির্বাচিতদেরকে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত-নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। তৃতীয়ত-এক ভোটেও পরাজয়, এক হাজার ভোটেও পরাজয়। সুতরাং কথা বলার আগে সামগ্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে হবে। ডাকসু নির্বাচনে সাবেক ডাকসু ও ছাত্র নেতারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার কারণে ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই এটাকে একটা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা কখনো সার্বজনীনতা পেতে পারে না।
এ বিষযে বক্তব্য জানতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে একাধিকবার কল দিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।