
একটি ইসলামি দল পিআরের জন্য তুমুল আন্দোলন করার কথা বলেছেন। এটা সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান, যা কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা কওমি মাদ্রাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পরাজিত শক্তি প্রত্যাবর্তন করলে সবার জন্যই ধ্বংসাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।
এদিকে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী সংসদ নির্বাচন সহ ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আজ আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। দেশে কোনো সরকার না থাকায় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সংবিধানের অনেক বিধানাবলি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকারের বৈধতার উৎস এবং ভিত্তি হচ্ছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭-এ বর্ণিত বিধানের জনগণের অভিপ্রায়।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় ঘোষণা ও জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করেছেন। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী জুলাই জাতীয় ঘোষণা ও জুলাই জাতীয় সনদের প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ তাদের পরামর্শ সরকারের নিকট উপস্থাপন করে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ হিসেবে অতীতের বিভিন্ন নজির ও উদাহরণ তুলে ধরে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তির বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান বারবার ব্যক্ত করে আসছে। আমরা মনে করি, জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান ব্যতীত ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান ও তার অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।
ডা. তাহের বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষে থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ফারুকী হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ অনেকে।