
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ বা বাগছাসের। নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা স্বভাবতই বাগছাসের প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছিলেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে তরুণদের নিজেদের জনপ্রিয়তা জাহির করার সুযোগ ছিল নবীন এই রাজনৈতিক দলের সামনে। কিন্তু ডাকসু-জাকসুতে বাগছাস প্যানেলের এক ধরনের ভরাডুবি হয়েছে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চমক না দেখাতে পেরে এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তরুণদের নিয়ে গড়া এনসিপি।
তবে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ নয়, বরং জাতীয় নির্বাচনের আগে বার্তা হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এনসিপির শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তারা তৃণমূল থেকে সংগঠনকে সুসংহত করায় মনোযোগী হচ্ছেন।
ভরাডুবির বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘এখানে ভরাডুবি হয়েছে—এমন না। যারা জিতেছে তাদের সংগঠন সুসংগঠিত ছিল। এখানে আমাদের শিক্ষা হচ্ছে—সাংগঠনিক সাপোর্ট বা ভিত্তি সুসংহত করা খুব জরুরি। বাগছাস কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে হেরেছে। তবে যদি হল সংসদের দিকে তাকান সেখানকার বেশ কিছু হলে তারা ভিপি পদে বা সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন। তবে এটা মানতে হবে যে আমাদের সাংগঠিন দুর্বলতা এখানে স্পষ্ট হয়েছে। যারা জিতেছে তারা সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই জিতেছে। আমরা তৃণমূল থেকে সংগঠনকে সুসংহত করায় মনোযোগ দিচ্ছি।’
ডাকসু নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন না এনসিপি এই নেতা। তার ভাষায়, ‘এই নির্বাচন যে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে, এমন ভাবার অবকাশ নেই। ডাকসু নির্বাচনে আমাদের ওয়ার্মআপ হয়েছে। ভোটার ও প্রার্থীদের বেলায় ডাকসু নির্বাচনের বৈচিত্রের জায়গা এবং জাতীয় নির্বাচনের বৈচিত্রের জায়গায় পার্থক্য আছে। এটা আমাদের জন্য একটা বার্তা। তবে এই বার্তাটা জাতীয় নির্বাচনে আরও কঠিন হবে। এখন থেকে সেই প্রস্তুতিটা সেইভাবেই নেওয়া হবে।’