
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, বিগত দিনে রাজনৈতিক কারণেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা ও মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি ধর্মকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না।
রোববার বরিশাল নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল ধর্ম-বর্ণ গোত্রের সমন্বয়ে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
তার প্রণীত ১৯ দফা কর্মসূচির আলোকে শক্তিশালী সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে ওঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে উদযাপন করবে। কেউ কারও ধর্মকে কটাক্ষ করবে না বা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না।
বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না বা ক্ষমতা পরিবর্তনে অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না।
সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করা বাংলাদেশের সাংবিধানিক অধিকার। কোন ধর্মের বা গোত্রের সেটি বিবেচ্য নয়। তবে বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থেকেছে।
ধর্মের ভিত্তিতে সমাজের বিভাজন বিএনপি বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল সবসময় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু গুজব রটানোর চেষ্টা করে ব্যক্তিগত বা সামাজিক দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে উৎসবের স্থানকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বরিশাল মহানগরের সভাপতি ভানু লাল দে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলার সভাপতি মানিক মুখার্জি কুন্ডু ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যান ফ্রন্টের মহানগরের সভাপতি আলবার্ট রিপন বর্লভ ও সাধারণ সম্পাদক লিমন সাহা, বরিশাল সাংবাদিক ফ্রেমের সভাপতি নিকুঞ্জ বলা পলাশ, সময় টিভির বরিশাল ব্যুরো চীফ অপূর্ব অপু, বরিশাল সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু রাজেস্বর বর্নিক ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেবনাথ, শ্রী শ্রী কালিগঞ্জ দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুজন বসু প্রমূখ।