
কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদীতে ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার পিস উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩ জনকে পলাতক আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
তারা হলো- জাদিমুড়া ৯নং ওয়ার্ডের সুলতান আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা (৪২), দমদমিয়া ৯নং ওয়ার্ডের নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ রুবেল (২৬) ও ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫)।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের খবর পেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল জোরদার করে বিজিবি নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতে।
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সাঁতরে আসতে দেখা গেলে জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় অভিযান চালায় বিজিবির নৌ টহল দলগুলো।
মাদককারবারীদের পালিয়ে যেতে দেখে বিজিবির নৌ টহল দল তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা মাদকের প্যাকেটগুলো নদীতেই ফেলে দিয়ে দ্রুত মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর পানিতে ভাসমান ইয়াবার প্যাকেটগুলো উদ্ধার করা হয়। অপরাধীরা সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার অংশে ঢুকে পড়ায় ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।