
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে একটি ছাত্র সংগঠনের বিজয় কোনো মাস্টারপ্ল্যানের অংশ কিনা– তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় রিজভী সদ্য সমাপ্ত ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আঁতাতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূলের কোনো গভীর নীলনকশা তৈরি হচ্ছে কিনা– এটা আজ মানুষের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে, যার মালিকের সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এটা কি অনিয়ম নয়?
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারি কোনো প্রেসের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ছাপানো যেত। কিন্তু তা না করে ব্যক্তিগত প্রেসে ছাপানো হয়েছে। এমন অনিয়ম দেখে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকরা পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে কোনো একটা গভীর নীলনকশা তৈরি হচ্ছে কিনা– যেখানে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টার্গেট করা হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছি, এখন এদেরকে (বিএনপি) ঘায়েল করতে হবে– এরকম কোনো মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে কিনা, সেটা আজকে মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, দেশে এমন কিছু শক্তির উত্থান ঘটছে, যা গণতন্ত্রের চর্চা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে শক্তিগুলোর উত্থান আমরা দেখছি, সেটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক, গণতন্ত্রের চর্চার জন্যও বিপজ্জনক এবং মানুষের যে ধর্মীয় চেতনা, সেটার জন্যও বিপজ্জনক।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিইএবি) আহ্বায়ক মো. হানিফ ও সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বক্তব্য দেন।