
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘শুধুমাত্র দারোয়ান পরিবর্তনের জন্যই কি আমরা নির্বাচন করব? শুধুমাত্র দারোয়ান পরিবর্তন করে আমরা ৫০ বছর দেখেছি। টেন্ডারবাজি থামানো যায়নি, ভোট ডাকাতি বন্ধ হয়নি।’
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ভাঙা ঘর ঠিক করতে হবে। শুধু পাহারাদার বদলালেই হবে না, দরজা-জানালাও বদলাতে হবে। এজন্য মুখের কথায় বিশ্বাস করি না, আমাদের একটি নতুন সংবিধান চাই।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘নির্বাচনের ডেডলাইন নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। প্রয়োজনে আগামীকালই নির্বাচন দিন। তবে আগে লিখিতভাবে নতুন সংবিধান দিতে হবে—যে সংবিধানে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। আমরা তা বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু আপনাদের বসানো হয়েছে জুলাই ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের ওপর। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আপনি ঘোষণা দিন যে খেলার নিয়ম বদলেছে। এর একটি আইনগত ভিত্তি দিন। এরপর আগামী মাসেই নির্বাচন দিন। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তাকেই নির্বাচিত হতে দিতে হবে।’
ভোটের আগে টাকা দিয়ে ভোট কেনার সংস্কৃতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনেও রাতের বেলা ঘরে ঘরে গিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়েছিল। জনগণকে এখন প্রতিজ্ঞা করতে হবে—আমরা আর বিক্রি হব না।’
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম, এহতেশাম হক, দেবিদ্বার উপজেলা সার্চ কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক জামাল মোহাম্মদ কবীর।