Image description
 

গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে বিজয়ী হয়েছে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এসএম ফরহাদ ও এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান জয় পেয়েছেন। এছাড়া ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

 

ডাকসুর এমন ফলাফলের পর বুধবার যুগান্তরকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। 

তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ ও শুভকামনা জানাই। তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, গণতন্ত্রের চর্চা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের যে মূলনীতি- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি বাংলাদেশ গঠন করা- সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখা। কোনোভাবেই যেন ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুম কালচার ফিরে না আসে। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতির বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে ডাকসুতে নির্বাচিতদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।  রাশেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি আওয়ামী লীগ আমালে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। শিক্ষকরা সেসময় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনকে তারা প্রশ্রয় দেন। শিক্ষকদের রাজনীতির মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনা, ভিসি ও শিক্ষক নিয়োগে কিভাবে নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ’

পরাজিত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হতে পারেনি আমি বলবো না তারা পরাজিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে তাদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে, এতে তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যারা জিততে পারেনি তার মানে এই নয় যে, তাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। তারা যদি শিক্ষার্থীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকে, নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, তাহলে আমি আশাবাদী ভবিষ্যতে তারা ভালো করবে। সবাই মিলে ক্যাম্পাসকে সুন্দর করে গড়ে তোলা সবার দায়িত্ব। ’