
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহসের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই সভাপতির প্রশংসাও করেছেন বিএনপির এই নেত্রী।
এর আগে গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে প্রকাশ্যে ধমক দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি গণেশ। প্রেস ব্রিফিংকালে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। গণেশকে নিয়ে জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা ফেসবুকে সমালোচনা করেন। এনসিপির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমও সমালোচনা করেছেন তার। নেটিজেনরাও গণেশের ওই ধমককে ‘ঔদ্ধত্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এমন আলোচনার মধ্যেই গণেশের পাশে নিপুন রায় চৌধুরী।
ফেসবুক পোস্টে নিপুণ লেখেন, ‘গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। সে লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয়। তার নামের মতোই তার কলিজা সাহসে ভরপুর। সাহস জুলাইয়ের প্রতিচ্ছবি, সাহস বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। সাহস কোনো অন্যায় করেনি বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সে কখনো পিছু হটেনি। স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে, অসংখ্য মামলার শিকার হয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে, বারবার জেল খেটেছে, রিমান্ডে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কোনো লুঙ্গির নিচে লুকিয়ে কৌশল করে সে আন্দোলন করেনি।’
নিপুণ লেখেন, ‘গণেশ চন্দ্র রায় সাহস হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো নেতা নয়। গত ষোল বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করে গড়ে ওঠা এক দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ও নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক সে। প্রিয় গণেশচন্দ্র রায় সাহস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যুগ যুগ ধরে তোমার প্রতিবাদী ভূমিকা স্মরণ করবে।’
এদিকে বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। সেখানে লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি স্থান-কাল-পাত্র ভেদে অত্যন্ত সতর্ক, সৎ ও মার্জিত ভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা করি; এবং নিজের মত প্রকাশের পূর্বে অন্যের মতামত শোনাকে সর্বদা প্রাধান্য দেই। কিন্তু ঠিক কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে সামনে-পেছনে না তাকিয়ে প্রতিবাদে সরব হতে হয় সেটি প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অনুধাবন করতে পারেন বলেই আমার বিশ্বাস।
আর দুর্জন যে বিদ্বান হলেও সদা পরিত্যাজ্য, যুগে যুগে দুর্জনদের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডই তা প্রমাণ করে এসেছে। যার কোন ব্যতিক্রম এখনো দেখা যাচ্ছে না। দিনশেষে প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। তবুও আপনাদের সকলের আলোচনা-সমালোচনাকে আমি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছি এবং সে অনুযায়ী নিজের ভবিষ্যত পথ চলতে চেষ্টা করবো।