Image description

ছাত্রদল সমর্থিত ডাকসু নির্বাচন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বাংলাদেশপন্থি শক্তির জয় অনিবার্য।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার প্রচারাভিযানকে লক্ষ্য করে পদ্ধতিগতভাবে কারসাজির চেষ্টা করা হয়েছে।

আবিদ বলেন, গতকাল আমার সব অনলাইন কর্মকাণ্ড সাইবার আক্রমণের মুখে পড়ে। আজ সকাল থেকে আমার নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে যে আমি নাকি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বাচনী ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেন, একাধিক কেন্দ্রে আগেই সিল মারা ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রোকেয়া হল ও অমর একুশে হলের ঘটনাও রয়েছে, যা বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সততা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

ভোট গণনায় কারসাজির বিষয়ে সতর্ক করে আবিদ বলেন, যদি যারা শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, তারা কারসাজির মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল বিকৃত করার চেষ্টা করে, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনির্বাচন হিসেবে বিবেচিত এই ভোট শেষ হওয়ার পরই তার এমন অভিযোগ উঠে আসে।

নিশ্চিত দুই কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ভোট প্রক্রিয়া জুড়ে বৃহত্তর কারসাজির আশঙ্কা তৈরি করেছে। সাইবার আক্রমণ এবং আগেভাগে সিল মারা ব্যালট আবিষ্কার নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার সুসংগঠিত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয় বলে আবিদ অভিযোগ করেন।

এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশপন্থি জোট আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছে এবং নিজেদেরকে ছাত্রসমাজের গণতান্ত্রিক অধিকারের রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত নির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। নির্বাচন ফলাফল দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।