
ছাত্রদল নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মেকানিজম করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
ডাকসুর এ প্রার্থী বলেন, ছাত্রদলের মধ্যে যেহেতু অনেক গ্রুপিং, এর জন্য দেখবেন ছাত্রদলের কি হয়েছে। তাদের যারা ট্রপ থ্রি (শীর্ষ তিনে) আসছে। এই গ্রুপিং এর কারণে তাদের বাকি গ্রুপ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট। তারা চাই যে টপ থ্রি না দিতে আসুক। বাকিরা ভেতরের তথ্য প্রচার করে। এজন্য লিক করে যাতে আমরা সেটি ঠেকায়। কারণ তারা চোখের সামনে দেখছে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (কারচুপি) হচ্ছে। আমাদের কাছে এসব তথ্য চলে আসে।
আবু বাকের দাবি করেন তারা জিতেন কিংবা হারিয়ে সেটি পরের ব্যাপার কিন্তু তারা কোন নির্বাচনি বিধি আচরণবিধি লংঘন করেননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিং আবু বকর মজুমদার বলেন, 'মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট না। কিন্তু তিনি আজকে এখানে প্রবেশ করা মানে একটা ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাস আজকে ক্যাম্পাসে প্রবেস করার কোন সুযোগ নেই, রাইট (অধিকার) নেই। প্রবেশ করেছেন কেন এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।'
আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'অমর একুশে হলে আগে থেকে যে ব্যালট পেপার সেটা আগে থেকে পূরণ করার তথ্য পেয়েছি। কারণে কিন্তু একজনকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি যাদের নামে ব্যালট। আমি পরবর্তী শুনছি সেটাতে ছাত্রদলের ব্যালট পূর্ণ ছিল। এখন আমরা পুরোপুরি কনফার্ম না, কারণ নির্বাচন কমিশনার অদের নিশ্চিত করেনি।তারা নারায়ণ ধরনের ব্যাখ্যা নানা জায়গায় দিয়েছে। '
একইভাবে রোকেয়া হলের কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং শামসুন্নাহার হলের ভোট কেন্দ্র ভূতত্ত্ব বিভাগের কেন্দ্রে একই রকমের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আবু বাকের মজুমদারের।
কেন্দ্রেগুলো থাকা ছাত্রদলের এজেন্টরা ভোট কেন্দ্রে সরাসরি ভোটারদের ম্যানুপুলেটের চেষ্টা করেছেন বলে দাবি বাগছাসের এ সভাপতির। তিনি বলেন, '৮টি কেন্দ্রে যারা পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলেন। তাদেরকে বলা হয়েছে আপনাদের কোন কাজ নাই, তারা চাইলে চলে যেতে পারেন আপনাদের প্রয়োজন নাই। এ বিষয়টা হচ্ছে এমন আপনি সম্মানের সাথে চলে যান আমরা যা করার তা করবো।'
ভোট গণনার এলইডি স্কিন বন্ধের অভিযোগ করে আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'আমরা দেখেছি কার্জন হলে সামনে ২০ মিনিটের মত এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল। শামসুন্নাহর হলে ১ ঘণ্টা পর এলইডি স্কিন এসেছে। অনেক সাংবাদিকরা বিভিন্ন ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদেরকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।
একটা অংশ নির্বাচনকে বানচাল করতে চাই বলে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সভাপতি আবু বাকের মজুমদারের। তিনি বলেন, প্রতি হলে ৩০০ ভোট করে যেতে কনভার্ট করতে পারে তাহলে ৫৬০০ ভোট হয়ে যায়। একজন প্রার্থীকে জি টি আনার জন্য এর চেয়ে বেশি ভোটের প্রয়োজন নাই। আমরা জানি না ভেতরে নির্বাচন নিয়ে এখন কি হচ্ছে।