
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র। গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ছাত্রশিবির সমর্থিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট প্যানেলে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
সুজন চন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়।
সনাতন ধর্মালম্বী হয়ে শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন চন্দ্র বলেন, শিবিরের প্যানেলে আসার অন্যতম প্রধান কারণ হলো তাদের আদর্শ ও নীতিবোধ আমাকে সবসময় আকর্ষণ করে। ছাত্রশিবির সবসময় মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাদের দায়বদ্ধতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। ফলে তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আমি শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বড় কথা এখানে শুধু শিবির নয় সকলের সমন্বয়ে দারুণ একটি জোট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ প্যানেলে থাকছে যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের সমন্বয়, যাদের রয়েছে সততা, নেতৃত্বগুণ ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের ব্যবহার ভদ্র ও মার্জিত। সব মিলিয়ে আমি বিশ্বাস করি, এই প্যানেলের মাধ্যমেই ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং শিক্ষার্থীরাও এ প্যানেলকে বেছে নেবে।
প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন জানিয়ে সুজন চন্দ্র বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি আমার প্রথম কাজ হবে শিক্ষার্থীদের কন্ঠস্বর হয়ে রাকসুতে আওয়াজে তোলা। এই অধিকার আদায়ের প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়েই সোচ্চার থাকবো। ক্যাম্পাসে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের মতের প্রতিফলন করাই হবে আমার অন্যতম প্রধান কাজ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেন ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলের নাম দেওয়া হয় ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। এ প্যানলে রয়েছে তিনজন নারী প্রার্থী, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, জিএস পদে সাবেক সমন্বয়ক, একজন সাংবাদিকসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে শিবির এই সম্মিলিত জোট করেন।