
উৎসবমুখর পরিবেশে আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী এ নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে হলের বাইরে আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের আছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হার জিতের হিসাব মেলাতে চিন্তাযুক্ত মনে ক্ষণ পার করছেন ডাকসুর ১০টি প্যানেলের ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ প্রার্থী এবং হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। গত রবিবার রাত থেকে সকল প্রচার বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে ভোট টানার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনে প্যানেলগুলো হলো ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল, শিবির মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল, উমামার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেল, বাম জোটের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল, জামাল উদ্দিন খালিদের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল, ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল এবং জুবায়ের-মোসাদ্দেকদের প্যানেল।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এবং ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর স্বস্তিতে এবং শান্তিতে ভোট দিতে পারবে ভেবে শিক্ষার্থীরা খুবই উৎফুল্ল। ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দের আবহ প্রবাহিত হচ্ছে। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে ভয়ের আবহ ছিল। আবার অনেকে সে নির্বাচনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। ফলে ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর এই প্রথম একটি উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।
তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাঁরা ইতোমধ্যেই তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্ধারণ করে ফেলেছেন। নানা গুজব, গুঞ্জন কিংবা অপপ্রচার তাদের মনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাঁরা বলেন, গত এক বছর ধরে আমরা সকল প্রার্থীরই কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা এমন প্রার্থী নির্বাচন করবেন যিনি নেতা হবেন না, শিক্ষার্থীদের ভাই-বোন হবেন। শিক্ষার্থীরা সকল সুখ-দুঃখে যাকে সবসময় পাশে পাবেন। একই সঙ্গে যিনি অর্থনৈতিকভাবে সৎ, তাঁকেই তাঁরা তাঁদের নেতা হিসেবে বেছে নেবেন। এক্ষেত্রে কে কোন দলের সেটি গৌণ হয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা কোনো প্যানেল নয়, ব্যক্তি দেখেই তাঁদের ভোট প্রদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রোকন উদ্দিন রানা জনকণ্ঠকে বলেন, বহুল আকাক্সিক্ষত ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবের হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা প্রত্যেকেই রবিবার তাদের প্রচারাভিযান শেষ করেছেন। শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।
কবি জসীম উদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জামিউল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে ভোটের দারুণ আমেজ চলছে। প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কি কাজ করবেন সেগুলো জানাচ্ছেন। হলে ক্যান্টিনের খাবার আর আবাসনের সমস্যা সমাধান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাব ও খেলাধুলার নিয়মিত টুর্নামেন্ট, পাঠকক্ষ আধুনিকীকরণ এসব বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভোটার শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় ভোট দেবেন। একাডেমিক সুষ্ঠু পরিবেশ সকলের অগ্রাধিকার। ভোটের পরিবেশ নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা নেই, আমরা সকলেই আগ্রহের সঙ্গে ভোটের আমেজ উপভোগ করছি।
যেভাবে ভোট দেওয়া যাবে
প্রত্যেক ভোটার তার সুবিধাজনক সময়ে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করবেন।
ভোটার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তাঁর লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন এবং ভোট দেবেন। মুঠোফোন বা কোনো ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না।
আছে ব্রেইল পদ্ধতিও
যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে, আর ব্রেইল পরতে পারেন, তাঁদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে যাঁরা ব্রেইল পরতে পারেন না, তাঁরা আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে অন্য সবার মতোই ভোট দিতে পারবেন।
কোন পদে কতজন প্রার্থী
ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদে ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কারা কোন কেন্দ্রে ভোট দেবেন
কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দেবেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল (কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র), অমর একুশে হল (দ্বিতীয় তলার গ্যালারি) ও ফজলুল হক মুসলিম হল (কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র) ভোটাররা।
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল (ইনডোর গেমস রুম), শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (ইনস্ট্রুমেন্ট রুম) ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (ইনডোর গেমস রুম)। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে রোকেয়া হল (ক্যাফেটেরিয়া, গেমস রুম)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল (মেঘনা গেমস রুম ও পদ্মা গেমস রুম) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (শিক্ষক লাউঞ্জ ও সুরমা গেমস রুম)। সিনেট ভবন কেন্দ্রে স্যার এ এফ রহমান হল (সেমিনার রুম), হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল (অ্যালামনাই ফ্লোর) ও বিজয় একাত্তর হল (ডাইনিং রুম)।
উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্যসেন হল (পশ্চিম পাশের ২য় তলার ২০৩, ২০৪ ও ২০৫ নম্বর কক্ষ), মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল (নিচতলার সেমিনার কক্ষ), শেখ মুজিবুর রহমান হল (মাঝখানের সিঁড়ির ২য় তলায়) ও কবি জসীম উদ্দীন হল (মাঝখানের সিঁড়ির ২য় তলায়)।
ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে কবি সুফিয়া কামাল হল (নিচতলা) এবং ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে শামসুন নাহার হল (নিচতলা)।
প্রার্থীদের আইডিতে সাইবার অ্যাটাক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি আগেও কয়েকবার আপনাদের সতর্ক করেছি যে নির্বাচনের আগের দিন নানা ধরনের সাইবার আক্রমণের প্রস্তুতি আছে। আজকে তারই প্রমাণ মিলল। ঘুম থেকে উঠে যখন বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন দেখতে পেলাম আমার আইডি নাই হয়ে গেছে।’
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের প্যানেলের প্রার্থীদের আইডিগুলোতে ক্রমাগত সাইবার অ্যাটাক করা হচ্ছে। কয়েকজন প্রার্থীর আইডি অলরেডি সাসপেন্ডেড। বেশ কিছু আইডি একটু পরপরই লগআউট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সহায়।’
সাদিক কায়েম বলেন, সকাল থেকে সংঘবদ্ধ রিপোর্টের কারণে আমাদের অনেকের আইডি বারবার লগ আউট হচ্ছে। প্রচুর রির্পোট আসছে। এর মধ্যে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খান এবং সংগঠনটির মহানগর সভাপতি রেজাউল করীম শাকিলের ডিজেবল এখনো। আরমানেরটা উদ্ধার করতে পেরেছি। তা ছাড়া আমার ও ফরহাদেরটা ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছি নিরাপত্তার জন্য।
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা রবিবার রাত থেকে তাঁর ফেসবুক আইডিতে ‘প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট মারা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই অভিযোগ করেছেন ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রার্থীর আইডি অলরেডি গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। হল সংসদ কিংবা সেন্ট্রাল, যাদেরই প্রতিপক্ষ মনে করা হচ্ছে তাদের এভাবে রিপোর্ট মারা হচ্ছে।
নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডাকসু তোমরা চেয়েছো; গভীরভাবে প্রত্যাশা করেছো; গণঅভ্যুত্থানের মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণও। গণতান্ত্রিক আকাঙ্খাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সমন্বিত একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভয়েস তৈরি করার জন্য এটা জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ এসব মূল্যবোধকে তুলে ধরার জন্য তোমাদের অনুষ্ঠান ডাকসু নির্বাচন। নির্ভয়ে তোমরা ভোট দিতে আসবা, আমরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি।
সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে না দাঁড়ানো ৭ প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার রাতে আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদা) ওমর ফারুক রাকিবকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।