
পুঁজিবাজার ধ্বংসের অভিযোগে মিনহাজ মান্নান ইমনের বিচার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
সম্প্রতি দীন ইসলাম নামে এক ব্যক্তির করা আবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুঁজিবাজার ধ্বংসের অন্যতম হোতা ছিলেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, পুঁজিবাজারের অন্যতম জুয়াড়ি এই ব্যক্তি এখনো রয়েছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে।
তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই। রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে তিনি এক সময় জেলও খেটেছেন। মিনহাজ মান্নান ইমন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের করপোরেট সদস্য প্লাটিনাম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ইমন শেখ হাসিনার আমলে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী একজন ব্যক্তি। তিনি দীপু মনির প্রভাব খাটিয়ে ২০১২ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো ডিএসইর পরিচালক নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ২০১৮ সালের মার্চে পুনরায় পরিচালক নির্বাচিত হন এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরও তাকে আবারো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক বানানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক হয়ে যাওয়া মিনহাজ মান্নান বিগত সরকারের আমলে খালাতো বোন ডা. দীপু মনির সব অবৈধভাবে উপার্জিত টাকার ক্যাশিয়ার ছিলেন এবং পুঁজিবাজারে ১৩০টি বস্তা পচা কোম্পানিকে বাজারে আনার আসল নায়ক।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তার কারণে নিঃস্ব হয়েছে বহু মানুষ। এই সরকার আসার পরও শেয়ারবাজারে যে নানারকম ঘটনা ঘটছে, সেসব ঘটনার পেছনেও মিনহাজ মান্নান ইমনের হাত রয়েছে। চিহ্নিত মাফিয়ার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে শেয়ারবাজার কখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।