Image description

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবদুর রহমান (৩৪) হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আটকের পর মারধর এবং সময়মতো চিকিৎসা না দেওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা। তবে পুলিশ অভিযাগ অস্বীকার করেছে।

নিহত আবদুর রহমানের চাচাতো ভাই মো. হানিফ বলেন, আবদুর রহমান আওয়ামী লীগের অত্যাচারের কারণে ২০১২ সালের পর থেকে এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় আসে। রবিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে বাড়ি থেকে আবদুর রহমান ও ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে আটক করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। আটকের পর তাদের মারধর করা হয়। 

মো. হানিফ আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে সকালে দুজনকে সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশে সোপর্দ করার পর থানায় গিয়ে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু দুজনকে বিকেল পাঁচটায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ সাড়ে ৫টার দিকে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর আবদুর রহমান মারা যান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব আহমেদ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুজনেরই শরীরে জখম ছিল। হাবিবুরের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, রবিবার সকালে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখন তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। এ সময় সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে আবদুর রহমান মারা যান। হাবিবুর বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রয়েছে। 

তিনি আরও জানান, আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। হাবিবুরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের দুটি গুলি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়।