Image description

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, 'এত রক্ত, এত আন্দোলনের পরে যদি আমরা দেখি যে একটা সাজানো-পাতানো আগের মতো নির্বাচনের দিকে দেশ যাচ্ছে, এই নির্বাচনে কেন জনগণ অংশগ্রহণ করবে? কেউ যাবে না।'

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পরওয়ার বলেন, 'আজকের এই গোল টেবিল থেকে আমি দাবি করব, এটা নিয়ে কনফিউশন দূর করার জন্য প্রয়োজনে জুলাই সনদে ঐকমত্যের ইস্যুগুলো পিআর পদ্ধতি যুক্ত করে গণভোটে দিয়ে দেন জনগণ যা ভোট দেবে আমরা তাই মেনে নেব।'

পিআর পদ্ধতি নিয়ে সংশয় দূর করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় জাতীয় রাজনৈতিক সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।

'বহু দেশে আছে, ন্যাশনাল পলিটিক্যাল কোনো ক্রাইসিস তৈরি হলে সরকার-বিরোধী দল সকলে গোল টেবিলে আলোচনা করে এটা একমত হয়। আপনারা তো ইন্ডিভিজুয়াল, কালেকটিভ মতামত নিয়েছেন, এখন প্রয়োজনে এটাকে ঐকমত্যে আনার জন্য ডাকেন, ডেকে আপনি গণভোটে যান, জনগণ যা বলবে আমরা তাই মেনে নেব, কোনো ক্রাইসিস তৈরি হবে না।'

জুলাই সনদকে আইনি রূপ দেওয়ার সুযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দুটি অপশন আছে। একটা হচ্ছে প্রেসিডেনশিয়াল একটা প্রক্লেমেশন জারি হতে পারে যে, এই এই বিষয়গুলো একটা সরকারি অর্ডিন্যান্সের মধ্য দিয়ে এগুলো আইনে পরিণত হলো। কামিং পার্লামেন্ট সেটা এসে অনুমোদন দেবে। আরেকটা হচ্ছে রেফারেন্ডাম।'

'এসব আইন-কানুন করার সময় নাই, নতুন পার্লামেন্ট আসবে, তারপর এসব আইন-কানুন তৈরি হবে—এ কথা যারা বলেন, সেখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে' বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, 'একটা দলের স্থায়ী কমিটির আরেকজন সদস্য এ কথা বলেছেন, এখন আপনারা যা সংস্কার করেন, যা আইন বানান, আমরা ক্ষমতায় গিয়ে সব মুছে দেবো। তাহলে যারা এখনই এ কথা বলতে পারেন, তারা আগামী পার্লামেন্টে আসার হয়তো স্বপ্ন দেখেন, কোন স্বপ্ন কাজে লাগবে, আর কোন স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন আল্লাহ পাকই ভালো জানেন।'

তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ সবই যদি বাতিল করে পরবর্তী ইলেকশনের পরে গিয়ে নির্বাচিতদের হাতে ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে এতগুলো আয়োজনের দরকারটা কী?

এই জামায়াত নেতা আরও বলেন, 'ইলেকশন কমিশন চিফ মাঝখানে আরেকটা কমেন্ট করে বসলেন পিআর পদ্ধতি নিয়ে। তিনি বললেন যে এটা সংবিধানে নাই। আজব ব্যাপার! রাষ্ট্রে একটা সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে সংবিধান-আইন জানা লোক উনি...সংবিধানে তো নির্বাচনের কোনো পদ্ধতি লেখা থাকে না! প্রতি পাঁচ বছর পরপর একটা পার্লামেন্ট ইলেকশন হবে। এটা আমাদের সংবিধানের বিধান। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে জনগণ, ইলেকশন কমিশন নির্ধারণ করবে। পিআর পদ্ধতিতে হবে না তাও তো লেখা নেই!'

'আরও যদি প্রশ্ন তোলেন সংবিধানে নাই, এই যে ২৬-এ যে ইলেকশন করছেন, এটা কি সংবিধানে আছে? গত ইলেকশন ২৪-এ একবার হয়ে গেছে, শেখ হাসিনা করে গেল। সংবিধান যদি এতই মানেন, ২৪-এর পরে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ২৯-এ তাহলে ইলেকশন হবে। এখন ২৬-এ ইলেকশন হচ্ছে, সেখানে কোন সংবিধান? ইউনুস সাহেব আসছেন কোন সংবিধানে?'