
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। লক্ষ্মীপুর জেলায়ও ভোটের মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন মতবিনিময়, গণসংযোগ, সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে। দল ও মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই জেলায় আছে চারটি সংসদীয় আসন।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) : এ আসনে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ হারুন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সাবেক এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে মাশফিকুল হক জয়। এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটওয়ারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন পাটওয়ারী।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) : এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হিরো।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) : এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী দুইবারের সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিব এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সভাপতি অনারারি ক্যাপ্টেন (অব.) মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সভাপতি নুর মোহম্মদ। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি রাকিব হোসেনও মনোনয়ন চাইবেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) : এই আসনে কয়েক মাস ধরে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ আসনে এবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব প্রার্থী হতে পারেন। জোটগত কারণে বিএনপি আসনটি জেএসডিকে ছাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আ স ম আবদুর রব বিএনপি জোটের প্রার্থী হবেন। এ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানও মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন বীথি। তিনি তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ আসন থেকে তিনি আগে দুবার এমপি হয়েছিলেন। কর্মী-সমর্থকরা বলছেন, আশরাফ উদ্দিন নিজান ভোটের মাঠে জেএসডিকে ছাড় দিতে রাজি নন। বিএনপি জোট থেকে জেএসডিকে আসনটি ছেড়ে দিলেও নিজাম ভোটের মাঠে থাকবেন বলে নেতাকর্মীদের আগাম বার্তা দিচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল এ আর হাফিজ উল্যা। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী দলের উপদেষ্টা খালেদ সাইফুল্লাহ। গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রেদোয়ান উল্যা খানও এ আসনে লড়তে চান।