
একই বাড়িতে সৌদি প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে রাতের আঁধারে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন দুই বন্ধু। পরে একই রশিতে চারজনের হাত বেঁধে ওই দুই বন্ধুর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে চারজনকেই আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন একই ইউনিয়নের উত্তর বেকাটারী গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মারুফ হোসেন (২২), প্রবাসী ওয়াহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়ামিন বেগম (২০), উপজেলার বিবিসি মোড়ের জাহিদুল ইসলামের ছেলে আলমগীর ইসলাম (২৪) ও প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আরফিনা বেগম (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়াহিদুল ইসলাম ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম প্রবাসে থাকেন। এ সুযোগে তাদের স্ত্রী ইয়ামিন ও আরফিনা বেগম বাড়িতে থাকার বদলে বেশিরভাগ সময় কাটাতেন বাবার বাড়িতে। এসময় তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই দুই যুবকের। ঘটনার রাতে তারা ওই দুই যুবককে ঘরে ঢুকিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করেন। সন্দেহ হলে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে তল্লাশি চালান। পরে ইয়ামিন বেগমের রুমের খটের নিচ থেকে মারুফ এবং আরফিনার রুমের ওয়্যারড্রবের ভেতর থেকে আলমগীরকে বের করা হয়।
পাশের বাড়ির জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বাড়িতে অটোরিকশা রেখে বাড়ির পাশে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় উঠানো ঘোরাঘুরি করছিলেন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী। ১১টার দিকে দুজন ছেলে এলে তাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে গেট ও দরজা আটকে দেন তারা। সন্দেহ হলে গ্রামের কয়েকজন মিলে বাড়িতে ঢোকার পর দরজা খুলে দিলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এসময় ঘরের খাটের নিচ ও ওয়্যারড্রবের ভেতর থেকে লুকানো অবস্থায় দুজনকে বের করা হয়।’
ভিক্ষু সেখ নামের আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমিও দুইটা ছেলেকে ঢুকতে দেখি। পরে শব্দ পেয়ে আমরা নিশ্চিত হই। তারা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আমরা দুজনকে খুঁজে বের করি।’
ঘটনার সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী চারজনকেই রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে তাদের মাথা ন্যাড়া করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া
রামজীবন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শাহজালাল সরকার বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও কেউ আসেননি। পরে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘তারা অপরাধ করেছেন, সেজন্য স্থানীয়রা তাদের আটক করেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনে। তারা যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের ধারা অনুযায়ী আমরা তাদের চালান দিয়েছি।’