
আগে ৭৩৯ ধরনের জীবনরক্ষকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করতো সরকার। তবে ১৯৯৩ সালে সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে ১৭৭ ধরনের ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সরকারকে।
বিতর্কিত ওই বিজ্ঞপ্তিকে বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে সোমবার (২৫ আগস্ট) রায় দিলেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশে তৈরি জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম সরকারকে ঠিক করে দিতে হবে বলেও রায় দেওয়া হয়।
এদিন বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে, ২০১৮ সালে ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা।
রিটকারীর আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির হাতে জীবনরক্ষকারী ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা থাকার ফলে সাধারণ মানুষকে বেশি দামে কিনতে হয়।
তিনি বলেন, গত ১৭ আগস্ট অন্তবর্তী সরকার নতুনকরে জীবনরক্ষকারী ওষুধের তালিকা করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। ওই তালিকায় যেসব ওষুধের নাম থাকবে সবগুলোর দাম সরকারকেই নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিলেন হাইকোর্ট।