Image description

জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী এএসএম তরিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে অংশ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ মামলা করে। সে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার এএসএম তরিকুল ইসলাম সম্প্রতি সুনামগঞ্জ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় অ্যাসিস্ট্যান্ট মৌলভী পোস্টে শিক্ষকতার চাকরিতে সুপারিশ পেয়েছেন। চাকরিতে যোগদানের জন্য মাদ্রাসায় যোগাযোগ করে তিনি বাড়িতে যান। বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার গ্রেপ্তারে জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শরীফ ওসমান হাদী, তাহমিদুল ইসলাম, পিনাকী ভট্টাচার্য, কবি আতিফ আবু বকর, ডা. শাফিনসহ আরও অনেকে তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। জুলাই বিপ্লবী এবং এক দশক ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের সক্রিয় যোদ্ধার গ্রেপ্তার মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

 

গ্রেপ্তার তরিকুলের ছোট ভাই খালিদ মুহাম্মদ কালবেলা বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে অংশ নেওয়ার ঘটনার মামলায় আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগেও আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তখন তিনি প্রায় দুমাস কারাভোগ করেন এবং জামিন পান। এতদিন পরে কেন আওয়ামী আমলের মামলায় আমার ভাইকে সাজা ভোগ করতে হবে?

 
 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী আমলে পুলিশি নির্যাতনে আমার ভাই এখনো অসুস্থতায় ভুগছেন। আমার পুরো পরিবার মজলুম, অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যস্ত। তার চাকরির উপর আমার পরিবারের রুটিরুজি নির্ভর করছে। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা বাতিল এবং দ্রুত জামিন চাই।

 

গ্রেপ্তার তরিকুল টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় সজ্জন ও পরোপকারী তরুণ হিসেবে সুপরিচিত। তার গ্রেপ্তারে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। এলাকাবাসী তার দ্রুত জামিন প্রদান এবং অতিসত্বর মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানান।