
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আমাদরেকে চিন্তা করতে হবে, কেন ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কেন হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। অত্যাচার নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে জেলে ছিলাম। খুন-গুম হয়েছে, হামলা-মামলা হয়েছে। একসাথে জেলে ছিলাম, আজকে ফাটল কেন? জামায়াতের আমীর সাহেব, জেনারেল সেক্রেটারী সাহেব, একসঙ্গে জেলখানায় ছিলাম, একসঙ্গে নামাজ পড়েছি। একসাথে খেয়েছি। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েই তো এ পরিস্থিতি আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হয়েছে।
তাহলে আজকে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করবো? মতপার্থক্য দূর করবো? বৃহত্তর স্বার্থের যদি চিন্তা করতে হয়, ক্ষুদ্র স্বার্থ, মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করতে হবে। জাতির প্রশ্নে, দেশের প্রশ্নে, সমাজের প্রশ্নে, মানবিক প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলেকজান্ডার মডেল সরকারি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এ জন্য ৫ তারিখের পর তারেক রহমানের বক্তব্য, বিবৃতি, কথাবার্তা সবকিছু মিলিয়ে এইযে নেতৃত্বের একটা গুণগত পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলের যে একটা পরিবর্তন সেটা আগে আমাদেরকে নিয়ে আসতে হবে। শুধু ৫ বছরের জন্য দেশ পরিচালনা করবেন- না, আমাদেরকে জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ কাজ যুগের পর যুগ চালিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি না পারি বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। এ দেশের মানুষের অস্তিত্বের উপর আঘাত আসবে। এজন্য এখন থেকে এমনভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিবেন।
তিনি বলেন, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা ধরেই নিতে পারি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল এ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে। তারেক রহমান সে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এখন থেকে তারেক রহমান সে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৮০ দিনে কি করবেন, ৩৬৫ দিনে কি করবেন। তাই নতুন চিন্তায় বর্বর-জঙ্গি যুগকে পাশ কাটিয়ে, ১৭ বছরের ট্রেন্ডকে বাদ দিয়ে নতুন ট্রেন্ডে নতুন চিন্তায় বাংলাদেশকে বির্নিমাণে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
রামগতি পৌর বিএনপির আহবায়ক সাহেদ আলী পটুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সিরাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহেদ উদ্দিন হ্যাপি সহ আরো অনেকে।