Image description

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘এ দেশ কোনো চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্যে যেন পরিণত হতে না পারে, সেটি আমাদের প্রত্যাশা, সেটিও আমাদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব শহীদের রক্তের দায় পরিশোধের সময় এসেছে। এ দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশের জায়গায় সবাইকে এক থাকতে হবে।’ জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল ‘গণতন্ত্র উত্তরণে কবি-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণতন্ত্রের পক্ষে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এ দেশের মালিকানার একমাত্র দাবিদার জনগণ। এ সত্যটাকে আমরা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই তাহলে মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকস্বাধীনতার পক্ষে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

দেশে একটি জবাবদিহিমূলক অবস্থা তৈরি করা একান্তই প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মানুষের অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, যদি একটি অ্যাকাউন্টেবল রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হই। আর এটি সম্ভব মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার পর থেকে। স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন আগে বিতাড়িত করেছে। এ স্বৈরাচারের মনোজাগরণ প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে কিন্তু আমাদের বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই।’

যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকরা নির্ভীকচিত্তে মুক্তির কথা বলেছেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কবিতা ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস। যুদ্ধের ময়দানে ক্ষুধা, যন্ত্রণা আর ক্লান্তিকে পরাজিত করেছিল কবিতার প্রেরণা। নব্বইয়ের দশকজুড়ে এবং আমরা যেটা দেখেছি, দেড় যুগ ধরে চলে আসা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেটা সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাসিত হয়েছে। যার পরিপূর্ণতা ঘটেছে চব্বিশের সফল গণ-আন্দোলনে ও গণ-অভ্যুত্থানে একইভাবে।’