Image description

ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে ঢাকা, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন সরগরম। ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল গঠন এবং ভোটের প্রচারে নেমেছে। কিন্তু বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের দৃশ্যমান নির্বাচনী তৎপরতা নেই কোনো ক্যাম্পাসে। 

আওয়ামী লীগের আমলে ১৫ বছর ক্যাম্পাসে বেশ চাপে ছিল ছাত্রদল। টানা দমনপীড়নে সাংগঠনিক সক্ষমতায় ঘাটতিও তৈরি হয়। ৫ আগস্টের পরও ঠিকমতো গুছিয়ে উঠতে পারেনি দেশের অন্যতম বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠন। তারা এখন ক্যাম্পাস   কমিটি গঠন করছে। এসব কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতা অনেকের ছাত্রত্ব না থাকায় তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। কমিটি নিয়ে কোন্দলও আছে। এর প্রভাব পড়েছে ছাত্র সংসদগুলোয় নির্বাচনী প্যানেল গঠনে। 

তিন ক্যাম্পাসেই মধ্যম সারির কয়েকজন করে নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে মনোনয়নের নিশ্চয়তা না থাকায় কেউ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেননি। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। গতকাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেউ ফরম নেননি। 

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রদলকে শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল না। তপশিল ঘোষণার পরও তারা নির্বাচন পেছানোর দাবি করছে। দিয়েছে সংস্কারের শর্ত। তবে এসব দাবি পূরণ না হলেও ছাত্রদল ভোট বর্জন করবে না বলে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। 

সংগঠনটির সূত্র জানায়, ডাকসু এবং রাকসু নির্বাচনের প্যানেল ঠিক করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ছাত্রদল নেতারা। আজ শেষ দিনে সংগঠনটির নেতারা ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। রাকসুতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ২৩ আগস্ট। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন আগামীকাল মঙ্গলবার। গতকাল ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা যাওয়ার পর সদ্য ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কমিটির নেতারা পদ-পদবি নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ আজ সোমবার থেকে শুরু হলেও কমিটির দ্বন্দ্বে জাকসু প্যানেল নিয়ে ছাত্রদল নেতারা আলোচনায় বসতে পারেননি। 

ডাকসুর ভোট ৯ সেপ্টেম্বর, জাকসুতে ১১ সেপ্টেম্বর আর রাকসুর ভোট গ্রহণ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। ২৯ বছরের বিরতির পর ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। জাকসু এবং রাকসুতে নির্বাচন হচ্ছে ৩৫ বছর পর। নব্বইয়ে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়েই জয়ী হয়েছিল ছাত্রদল।

ডাকসুতে অন্যরা সরব, ছাত্রদল নিষ্প্রভ

গত ১৪ আগস্ট ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ইশতেহারসহ প্রচারণায় নেমেছেন। ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন গতকাল সমকালকে বলেন, ছাত্রদলের কেউ এখনও মনোনয়ন ফরম নেয়নি। 

ডাকসুতে পদসংখ্যা ২৮, হল সংসদে ১৩টি। তবে আলোচনা চলছে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস), সমাজসেবা সম্পাদক, হল সংসদের ভিপি-জিএস পদ নিয়ে। 

আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি ছাত্রদল নিয়মিত ছাত্রত্ব থাকা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে হল কমিটি করেছে। সর্বশেষ কমিটিতে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পদ পেয়েছিলেন। ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ডাকসুতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আগের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর হল কমিটি থেকে দেওয়া হবে হল সংসদে মনোনয়ন।  

ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেলে ভিপি প্রার্থী কে হতে পারেন– এ ধারণা গতকাল পর্যন্ত মেলেনি। সংগঠনটির নেতারা সমকালকে বলেন, ভিপি পদে জয়-পরাজয় জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি সরকার গঠনের পর বিরোধী দল-মতের ভিপি থাকলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি হতে পারে। ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারেক রহমান বিএনপিপন্থি সাদা দলের শিক্ষকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তবে প্যানেল বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। 

ছাত্রদলের দ্বিতীয় সারির নেতাকর্মীরা জানান, এখন পর্যন্ত নির্দেশনা আসেনি। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জিসান ভিপি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম না নেওয়া এ নেতা বলেন, সব আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের মতামতে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা পোষণ করছি। তবে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।  

জসীম উদ্‌দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিমও প্রার্থী হবেন জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। ঢাবি শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খানও ভিপি-জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে তাকিয়ে আছেন দলের দিকে। 

ছাত্রদল নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না ছাত্রলীগের দখলে থাকা হলগুলোতে। ছাত্রদলের যেসব নেতা ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ ছিলেন, তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ছাত্রলীগের ধরপাকড়ে। ফলে নতুন কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাই ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবস্থা ঢাবিতে এখনও কিছুটা ‘নড়বড়ে’। 

ক্যাম্পাসের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের পরে ভর্তি হওয়া। ছাত্রদল সভাপতি সাহস ২০১০-১১ বর্ষের, সাধারণ সম্পাদক শিপন ২০১১-১২ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্য নেতাকর্মীদের একই অবস্থা। ছাত্রত্ব না থাকায় ৫ আগস্টের পরও তারা হলে উঠতে পারেননি। ছাত্রদল যেসব হলে কমিটি দিয়েছে, সেখানেও নেতা পেতে সময় লেগেছে। মেয়েদের একটি হলে তিনজনের কমিটি দিয়েছে তারা। অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হওয়ায় তারা এ ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে আছেন।  

রাবিতে সাংগঠনিক দুর্বলতায় ভুগছে 

গত শনিবার রাবি ছাত্রদলের ১১৩ সদস্যের ‘অপূর্ণাঙ্গ’ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছেলেদের ১১ হলেরও ‘অপূর্ণাঙ্গ’ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অধিকাংশের নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় তারা রাকসুতে প্রার্থী হতে পারছেন না।

ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, রাকসুতে স্বতন্ত্র কিংবা ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল দেওয়া হতে পারে। হলগুলোতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের গণসংযোগ শুরু করলেও কেন্দ্রীয় সংসদের ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। 

ছাত্রদলের মধ্যম সারির নেতারা বলেছেন, জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় নির্বাচনে তাদের অনীহা রয়েছে। কর্মীরা নির্বাচন চাইলেও তারা ভোটের জন্য নানা শর্ত দিচ্ছেন। তপশিল ঘোষণার আগে ছাত্রদল হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন; বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও একাধিক হলের প্রাধ্যক্ষ অপসারণ এবং আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষকদের বিচার দাবি করে। দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেয়। 

অন্য সংগঠনের নেতারা বলছেন, ছাত্রদল এর মাধ্যমে নির্বাচন পেছাতে চাইছে। সংগঠনটি দাবি করছে, ভোটার তালিকায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম থাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে ছাত্রলীগ নেতারা বাদ যাবে। 

ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে সহসভাপতি জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু ও দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবনের ছাত্রত্ব রয়েছে। সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ২০০৯-১০ ও সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ভিপি পদে সংগঠনের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মাহমুদুল হাসান মিঠু। নাফিউল জীবন, জাহিন বিশ্বাস এষা এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) রাবি শাখার সদস্য সচিব গাজী ফেরদৌস হাসান। 

ছাত্রদল প্রস্তাব করেছিল এমফিল শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন জানান, এমফিলে ভর্তি হতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা ছাত্রদলের একজনের রয়েছে। 

রাকসুতে ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ১২৭। ছাত্রদলের নেতারা মনে করেন, সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হলেও জাতীয়তাবাদী আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবস্থানের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোট পাবেন। শিক্ষার্থীদের বড় অংশের পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। তাদের ভোট ছাত্রদলই পাবে। 

শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমাদের দাবিগুলো আমলে নেয় প্রশাসন। শিবির ও তাদের বানানো ছোট ছোট টিম ছাড়া আর কেউ নীতিনির্ধারণী ভূমিকায় নেই। ছাত্রদল চায় প্রশাসন নিরপেক্ষ থেকে আস্থা অর্জন করুক। তড়িঘড়ি না করে সুষ্ঠু নির্বাচন করুক। কিন্তু প্রশাসন একটি সংগঠনের স্বার্থে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে। 

ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করবে কিনা– প্রশ্নে রাহী বলেন, দাবি না মেনে নির্বাচন করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করব। 
নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা ছাত্রদল করছে– জানিয়ে রাবি সভাপতি বলেন, ছাত্রদল এককভাবে প্যানেল দেবে। তবে প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে জোট হতে পারে। ছাত্রদল জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ ঠিক নয়। এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কেউ নির্বাচন পরিপন্থি কাজ করেননি। কোনো সংগঠন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জাকসুর আগে ছাত্রদলে বিভক্তি 

আগামীকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় হলেও জাবিতে ছাত্রদল নেতারা নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়েছেন কমিটি নিয়ে। গত ৮ আগস্ট জাবিতে ৩৭০ সদস্যের বর্ধিত কমিটি এবং ১৭টি হল, একটি অনুষদসহ ৮৮ সদস্যের কমিটি করে ছাত্রদল। হত্যা মামলার আসামি, ছাত্রলীগ ও ছিনতাইকারীরা পদ পেয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছেন পদবঞ্চিতরা। 

বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে ছাত্রদল আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি। ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের দোয়া মাহফিলেও তারা ছিলেন না। 

এর পরও ছাত্রদল একক প্যানেল দেওয়ার কথা বললেও কারা মনোনয়ন পাবেন, তা স্পষ্ট করেনি। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, কমিটি নিয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে। তবে জাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্রদলের ভেতর একটি অদৃশ্য শক্তি ঢুকে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। ৫ আগস্টের পর থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য ছাত্রদল অনেক কাজ করেছে, যা তাদের সহ্য হয়নি। 

প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলমান বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ভিপি-জিএস এবং অন্যান্য পদে কারা প্রার্থী হবেন, দুই-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। 

জাবিতেও ছাত্রদল বলছে, প্রশাসনে আওয়ামী-ফ্যাসিবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা থাকায় নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

গতকাল জাবিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আসার পর পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করেন। নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, কমিটি নিয়ে কারও কারও অসন্তোষ রয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। জাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল ইতিবাচক। আমরা অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

ঢাবির মতো আওয়ামী লীগ আমলে জাবির ক্যাম্পাস হলে থাকতে পারেনি ছাত্রদল। তাই এখানেও সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল। জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় প্রার্থী হতে পারছেন না। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় আহ্বায়ক বাবর, সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, আফফান আলী, এস এম ফয়সাল, হুমায়ুন হাবীব হিরনসহ শীর্ষ নেতাদের নাম নেই ভোটার তালিকায়। 

৪৮ থেকে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ভিপি পদে ৪৮ ব্যাচের শেখ সাদী, জিএস পদে ৪৯ ব্যাচের মেহেদী ইমন, মো. রুবেল ও জহিরুল ইসলামের সম্ভাবনা রয়েছে।