
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জামায়াতের লোক। বিভিন্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের বিচারক যারা হচ্ছে, তারা জামায়াতের লোক। আর আমরা কী করছি? লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট দখল করছি।’ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জেলা শহরের নিজস্ব বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি জামায়াতের বদনাম করছি না। আমি শুধু দুটি জিনিসের তফাত দেখালাম। শুধু নেতা হলেই হবে না, নেতার কোয়ালিটি থাকতে হবে। নেতা যদি মনে করে চান্দাবাজি করাই তার কাজ, দখলবাজি করাই তার কাজ, তাহলে নেতৃত্ব দেবে কখন?’
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুমকি উপজেলায় আয়োজিত আরেকটি মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালীতে এখন আর আওয়ামী লীগ নেই; চাঁদা দিয়ে সব বিএনপি হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট–পরবর্তী সময়ে পটুয়াখালীতে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট করেছে, তাদের নাম–ঠিকানা–ছবিসহ আমাদের ও সব গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে। সময়মতো হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব, কেউ পালানোর পথও পাবে না।’
তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় রাজনীতিতে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চঘাট, বাসটার্মিনাল ইজারার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি এক–এগারোর সময় দলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী বক্তব্য দিয়েছেন, এখনো তা–ই করছেন।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার বলেন, ‘এ ধরনের আত্মঘাতী বক্তব্য তিনি বুঝে দিয়েছেন নাকি না বুঝে দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি বোধগম্য নই। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে তিনি মানুষের কাছে এখন হাসির পাত্র।’