Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির বর্ধিতকরন এবং নতুন হল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। হল কমিটির দুই নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী আফরিন আলম রিমি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে আহবায়ক কমিটির বর্ধিত অংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ টি হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ অভিনন্দন জানান তিনি।

 

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ নেত্রী আফরিন আলম রিমি বলন,"আমি নিজেকে গর্বিত সিনিয়র মনে করছি কারণ আমি যাকে ২/৩ বছর ধরে রাজনীতি শিখিয়েছি সে এখন অন্য দলে রাজনীতি প্র্যাকটিস করবে।আমি নাই তো কি হয়েছে জুনিয়র হলের নেত্রী, তাই ভালো লাগছে।" জানা যায়, ১৬ জুলাই প্রথম প্রহরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর ছাত্রলীগের হামলার পর আফরিন আলম রিমি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি ফজিলাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।কাজী মৌসুমী আফরোজ এবং সাবরিনা সুলতানা সুরভী— দু’জনেই একসময় আফরিন আলম রিমির সঙ্গে ফজিলাতুন্নেছা ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

 

তবে নবগঠিত ছাত্রদল কমিটিতে রোকেয়া হলের সভাপতি হয়েছেন কাজী মৌসুমী আফরোজ এবং ফজিলাতুন্নেছা হলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবরিনা সুলতানা সুরভী। এ বিষয়ে সাবরিনা সুলতানা সুরভী বলেন,"আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি সেই আদর্শেই বিশ্বাস করি। আমি ১ম এবং ২য় বর্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না।৩য় বর্ষে কিছুটা জোরপূর্বক কয়েকটা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে যেতে হয়েছে।আমি ভবিষ্যতে যশোর মহিলাদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হব।"

 

এ বিষয়ে কাজী মৌসুমী আফরোজ বলেন,"আমার বাবা দীর্ঘদিন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।১ম বর্ষে থাকাকালীন হলের সিনিয়র আপুরা হলের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকে নিত।আমরা তাদের দলীয় পরিচয় জানতাম না।পরবর্তীতে তারা সেসব ছবি দলীয় বলে প্রচার করত।যার দ্বারা আমার রাজনৈতিক পরিচয় নির্ধাধারিত হয় না।আমি কখনোই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না।"