এবার সিঙ্গাপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মেরামত করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ১৭২ জন যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। জানা গেছে, আজ সকালে বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-৫৮৫) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ১৭২ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসার সময যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে যাত্রীদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নেওয়া হয়।প্রকৌশলীরা ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ইঞ্জিনের মেরামত ঠিক করেন। বিমানের ক্যাপ্টেন জানান, স্ল্যাট সমস্যার কারণে বিমানটি নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে নিচ দিয়ে উড়তে বাধ্য হবে, যা অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ, দীর্ঘ ফ্লাইট সময় এবং বেশি আবহাওয়া ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ বাড়ছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, এ ধরনের ত্রুটি বারবার ঘটায় তারা বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। যাত্রীদের একাংশ জানান, দীর্ঘ সময় বিমানে আটকে থাকা শুধু মানসিক চাপই নয়, বরং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও তৈরি করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ এবং ড্যাশ ৮ মডেলের উড়োজাহাজে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময় মতো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা, যন্ত্রাংশের মান এবং জনবল দক্ষতার ঘাটতির কারণে এসব সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এর ফলে শুধু ফ্লাইট সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে না, বরং যাত্রীদের আস্থাও দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। বিমান পরিবহন খাতের অভিজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ এবং নিরাপত্তা মানদণ্ড কঠোরভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে, ফ্লাইট বিজি৫৮৫-এর যাত্রীদের উদ্দেশে ক্যাপ্টেন দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নিরাপদে যাত্রা সম্পন্ন করার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যাত্রীদের অনেকেই জানিয়েছেন, শুধু আশ্বাসে আস্থা ফিরছে না—প্রয়োজন বাস্তবসম্মত সমাধান ও ধারাবাহিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা।