
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে যেসব স্লোগান দেওয়া হয়েছে এসব সাধারণ শিক্ষার্থীর স্লোগান নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
তিনি বলেন—কোন সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে এমন অশ্রাব্য স্লোগান বের হয় না। রাজনীতির মধ্যেও এক মহরাজনীতি থাকে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করতো এরা এখন কোথায়?
শনিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে রাশেদ খান বলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে ছাত্র সংগঠনগুলো কমিটি দিতে পারবেনা বুঝলাম, কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে হল সংসদে প্যানেল দিতে পারবে? তখন আবার আরেক দফা আন্দোলন হবে যে, ছাত্র সংসদে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্যানেল বাতিল চাই। অন্যথায় এরা ডাকসু রূপে ফিরে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন চালাবে... এরপর?
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্যানেল দিতে বাধাগ্রস্ত করা হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাশেদ খান বলেন—এরপর দাবি উঠবে কেন্দ্রীয় সংসদে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল দিতে পারবে না! শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্যানেল দিতে পারবে! কিন্তু সেই সাধারণ শিক্ষার্থী আসলে কারা? রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন, ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের দাবি না করে যারা স্লোগান দিচ্ছে ১,২,৩,৪, পু*কি মার.....! এরা কি আদৌও সাধারণ শিক্ষার্থী? আমি নিজেও সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আচরণ আমি বুঝি। এসব স্লোগান পরিকল্পিত উসকানি। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখ থেকে এমন অশ্রাব্য স্লোগান বের হয় না। রাজনীতির মধ্যেও এক মহরাজনীতি থাকে।
ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখন কোথায়? এমন প্রশ্ন রেখে গণঅধিকারের শীর্ষ এই নেতা বলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করতো এরা এখন কোথায়? ১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির আন্দোলনে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী ছিলো। কারণ কোটা তারাও পছন্দ করতো না। কিন্তু হাসিনা ছিলো তাদের পছন্দের। হাসিনার পতন আন্দোলন শুরু হলে, তারা বলেছিলো কোটা বাতিলের দাবি পর্যন্ত ছিলাম, এখন যা হচ্ছে, তার সাথে নাই! সেই হাসিনা পতনের আন্দোলনে না থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কোটা বাতিলের আন্দোলনে ছিলাম দোহাই দিয়ে হলে থাকছে...!
আন্দোলনে ছাত্রলীগ ঢোকে রাজনীতি নিষিদ্ধ চাচ্ছে উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন—সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে আন্দোলনে ছাত্রলীগ ঢুকে ছাত্র রাজনীতি বাতিল চাচ্ছে। কারণ ওরা রাজনীতি করতে পারছে না, বাকিদের রাজনীতি কেন থাকবে? আবার কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলগুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলোর উপহার দেওয়া পানির ফিলটার ভেঙে ফেলছে, ভেন্ডিং মেশিনে জুতা মারছে?
