Image description

পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা গোঁ ধরছেন, তারা সাধারণত নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, তাদের (যারা পিআর পদ্ধতি চায়) নির্বাচনে ভয় পাওয়ার বাস্তব কারণও আছে। অনেক ইসলামী দল আছে, যাদের প্রার্থীরা কখনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন।

আওয়ামী লীগের কাছে এই দলটি যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে, বিশেষ করে বরিশালের সবশেষ নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ার পর এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের সময় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতেই তারা অংশগ্রহন করেছে, আওয়ামী লীগকে তারা পেয়ারের সংগঠন মানতো।
 

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয়, তাহলে বিষয়টি তাদের কর্মসূচিতে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিক।

কেননা এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেসব দেশে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকার পতন হয়েছে। নেপালই যার বড় দৃষ্টান্ত। একটি দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বাধাহীনভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারের স্থিতিশীলতা খুব জরুরি।
সেটির নিশ্চয়তা পিআর পদ্ধতিতে থাকে না।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশে সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ব্যর্থতা। হ্যাঁ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। দাবিগুলো নির্বাচনের কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জণগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমই নির্বাচন।

যদি সেসব দাবি জনপ্রিয় হয়, তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া ঠিক হবে না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুযাডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।