
আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনকে কিছু এলাকা ছাড় দিতে হতে পারে বলে ঘোষণায় ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
তবে ট্রাম্পের সেই ঘোষণার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের ভূখণ্ড না ছাড়ার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (৯ আগস্ট) টেলিগ্রাম-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি— ‘‘ইউক্রেন দখলদারদের কাছে কখনোই তাদের ভূমি দেবে না। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যেকোনো সমাধান হবে আসলে ‘শান্তির বিরুদ্ধে সমাধান’।’’
জেলেনস্কির এ মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা দেন, তিনি ১৫ আগস্ট আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটু-আধটু ভূখণ্ড অদলবদল হবে।’ এই বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত দেন, একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে হয়তো কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, হোয়াইট হাউস ইউরোপীয় নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যেন তারা একটি চুক্তি মেনে নেয়, যার মাধ্যমে ডনবাস, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়াসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে।
কিন্তু জেলেনস্কি আগেই যেকোনো পূর্বশর্তসহ ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব সরাসরি অস্বীকার করেছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক ভিডিও ও টেক্সট বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে এবং সেটা রাশিয়াকেই করতে হবে। যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া, তারাই এটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে, প্রতিটি সময়সীমা উপেক্ষা করে — সমস্যাটা সেটাই, অন্য কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত সফল হবে না। ওগুলো মৃত সিদ্ধান্ত— বাস্তবায়নযোগ্য নয়।’
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক প্রসঙ্গে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুদ্ধ থেকে অনেক দূরে, অথচ যুদ্ধ চলছে আমাদের ভূমিতে, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে— আর এটা আমাদের ছাড়া শেষ হবে না, ইউক্রেন ছাড়া শেষ হবে না।’
তবে তিনি এ-ও জানান, একটি ‘বাস্তব’ শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।