Image description

বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামীকাল শনিবার। দীর্ঘ ছয় বছর পর এ ভোট হচ্ছে। এতে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদে দাঁড়িয়েছেন যথাক্রমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম শাকিল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব প্রার্থী যথাক্রমে শিশু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান  অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক ও আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সাকুর খান। 

হারুন আল রশিদ ২০১৯ সাল থেকে ড্যাবের সর্বশেষ কমিটির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। আর অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক এর আগের ১৪ বছর অর্থাৎ ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ড্যাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারের নির্বাচনে ড্যাবের শীর্ষ পাঁচটি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলের মোট ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে প্রচার প্রচারণা। ভোটের সব আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন। শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উইলস লিটল ফ্ল্যাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোটগ্রহণ হবে। মোট ৩১৩১ জন চিকিৎসক তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। 

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৪ মে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ড্যাব সভাপতি এবং ডা. মো. আব্দুস সালাম মহাসচিব নির্বাচিত হন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে হারুন-শাকিল প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা ও নির্বাচনের সার্বিক দিক নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। অন্যদিকে আজিজ-শাকুর প্যানেল গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিচিতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। উভয় প্যানেলই নির্বাচনী ইশতেহারে ফ্যাসিবাদমুক্ত ড্যাব গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

হারুন-শাকিল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ পদে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদ ডা. মেহেদী হাসান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে অর্থোপেডিক সার্জারি অধ্যাপক ডা. খালেকুজ্জামান দিপু।

আজিজ-শাকুর পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিএমইউর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, কোষাধক্ষ্য পদে ইউরোলজিস্ট ডা. তৌহিদ উল ইসলাম জন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে বিএমইউর উপ-রেজিস্ট্রার ডা. আবু আহসান ফিরোজ।

হারুন-শাকিল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করলে গণতান্ত্রিক চর্চা বিকশিত ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। কাউন্সিলে প্রকৃত নেতাদের মূল্যায়নের সুযোগ থাকে। জয়ী এবং পরাজিত প্যানেলের লোকজন মিলেমিশে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়। এই চর্চা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে সর্বত্র অব্যাহত রাখলে দলের লাভ হবে।

আজিজ-শাকুর প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক আজিজুল হক বলেন, বহুদিন পর একটি কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিজন কান্তি সরকার বলেন, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ হবে।