Image description

আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে, ‘আমি সাংবাদিক ও প্রশাসনের লোকজনের কাছে বলে যেতে চাই,আমাকে যদি হত্যা করা হয়, তার প্রধান আসামি হবেন হাবিব।’ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবকে উদ্দেশ করে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা।

 

রোববার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপির ঈশ্বরদী পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকারিয়া পিন্টু, শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় ১ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এতে বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শামসুদ্দিন মালিথা অভিযোগ করেন, ঈশ্বরদীতে বিএনপির সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করেন জাকারিয়া পিন্টু। কিন্তু তিনি যখন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন, তখন থেকেই নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার শুরু হয়। তিনি দাবি করেন, এসব ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হলেন পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।

শামসুদ্দিন মালিথা বলেন, হাবিব ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে টকশো, ফেসবুক ও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। এমনকি ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর বৈধ ইজারাদার মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন তিনি। সেখানে নিষিদ্ধ কাকন বাহিনীর হয়ে হাবিব কার্যকলাপে লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভিযানে কাকন বাহিনীর অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা গোপন করতে হাবিব বিভিন্ন মিডিয়াতে বিকৃত তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি শুধু কাকন বাহিনী নয়, দাশুড়িয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম তুহিন এবং ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতা শহিদুল ইসলাম মোল্লার পক্ষেও প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বিপুল জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও জাকারিয়া পিন্টুর জনপ্রিয়তাকে দমন করা যাচ্ছে না দেখে বিতর্কিত যুবলীগপন্থী জুবায়ের হোসেন বাপ্পিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। যেখানে জাকারিয়া পিন্টুকে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও বালুমহাল দখলকারী বলা হয়েছে।’

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করেন, জুবায়ের হোসেন বাপ্পি বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। যার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, সেই ব্যক্তি আজ সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেল শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি আহসান হাবিব, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবীর দুলাল সরদার, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, শামসুদ্দোহা পিপ্পু, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন জনি, আবু সাঈদ লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুর রহমান শাহীন, যুবদল নেতা মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, মাহামুদ হাসান সোনামনিসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।