বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী বলেন, ‘ভারত আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাখবে কী রাখবেনা এটা তাদের ইন্টারনাল পলিসি। এটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, এটা ভারতের ব্যক্তিগত বিষয়।’
সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মাহি বলেন, ‘ভারত আমাদের কী বার্তা দিতে চাচ্ছে তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের েএই প্রজন্ম ভারতকে কী বার্তা দিয়েছে। আমাদের আজকের যে প্রজন্ম, নেতৃত্বে যারাই থাকুক না কেন, রাজনীতিতে যারা আছে, ৭৫ ভাগ লোক যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যারা জন্মগ্রহন করেছে, এই প্রজন্ম একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছে যারা স্বাধীনচেতা প্রজন্ম যাদের মধ্যে দাসসূলভ মনোবৃত্তি নাই।’
তিনি বলেন, ‘এইযে একটা জেনারেশনাল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের কাছে এটা একটা বার্তা। তারা যদি এটা বুঝতে পারে তাহলে তারা তাদের ইন্টারনাল পলিসি সেভাবেই সাজাবে এটা আমার প্রত্যাশা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে তাদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক অত্যন্ত জরুরী এবং এটা থাকতে হবে। হঠাৎ করেই এটা হয়নি, এটাই বাংলাদেশের প্রজন্ম।’
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) সাপোর্ট দিয়েছে। পাসপোর্ট থাকুক বা না থাকুক আমার যতটুক বিশ্বাস সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে রাখবে।’
পার্থ বলেন, ‘ভারতের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী যে কাজগুলো করেছেন বা যে সম্পর্ক মেইনটেইন করেছেন আমি শিওর যে ভারত যদি উনাকে ডিজওউন করে তাহলে পরবর্তীতে ভারতের হয়ে কেই কাজ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একটা বড় দেশ, তাই আমার মনে হয় ভারত এটা রাখবে। পাসপোর্ট থাকলো না থাকলো সেটা কোনো ব্যাপার না। উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওখানে আছেন। আমার যতটুক ধারণা, যতটুক আমি বুঝেছি ভারত উনাকে ওখানে রাখবেন।’