
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন চাচ্ছি ক্ষমতায় যেতে নয় বরং ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে। কারণ জনগণই দেশের প্রকৃত মালিক। তাই সংস্কারের দোহাই দিয়ে অযথা নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ নেই। দীর্ঘ লড়াই শেষে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ করার সুযোগ এসেছে। এটাকে নষ্ট করা ঠিক হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের যাদের অভিযোগ ছিল বিএনপি কেন নির্বাচন চায় তারা নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে দেশ তত অস্থিতিশীল হবে। সরকারের উচিত ছিল আরো আগে নির্বাচনের আয়োজন করা।
বিএনপির মহাসচিব জানান, বর্তমানে দেশে জনগণের কোন প্রতিনিধি নেই। তারা তাদের মনের কথা, দাবির কথা কাউকে বলতে পারেনা। এভাবে একটি দেশ চলেনা। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে নির্বাচন সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
চলমান ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার বৈঠক নিয়ে ফখরুল বলেন, শুনেছি বারটি মৌলিক বিষয়ের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকি যেটুকু সংস্কার দরকার তা দ্রুত শেষ করুন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের কমিটমেন্ট অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে নির্বাচন দিন।
তিনি আরো জানান, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সবার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দিতে হবে, কথা বলতে দিতে হবে। সমাজের সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
আমরা এখনো গোলামির মধ্যে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে আমরা এখনো গোলামির শৃংখলমুক্ত হতে পারিনি। চীনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, চীন প্রতিদিন বদলাচ্ছে। মেধার সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। অথচ আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের তালিকা সরকার করেনি এটা খুব দুঃখজনক। অথচ উচিত ছিল তাদের পাশে থাকা সহযোগিতা করা।
সবাইকে হতাশ হতে নিষেধ করে বিএনপি'র মহাসচিব বলেন, আমরা ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি। ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ কে হটিয়েছি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি। তাই এবারও জিতবো। ভোটের মাধ্যমেই জনগণের প্রকৃত জয়লাভ নিশ্চিত হবে।
বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল জানান, রাজনীতিতে মতভেদ থাকবে, বিরোধীতা থাকবে। তাই বলে এমন বক্তব্য দিবেন না যাতে তিক্ততা সৃষ্টি হয়।
শীর্ষনিউজ