
দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমের শিরোমণি ছিল শেখ পরিবার। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেও অবস্থান ছিল এই পরিবারের। মেগা প্রকল্পসহ বড় বড় টেন্ডার, নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন তারা। বছরের পর বছর তারা দখলে রাখেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পদ। দুই হাতে লুটেন দেশের অর্থ।
গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। এসব কারণে জুলাই বিপ্লবের আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ার কথা ছিল এই পরিবারের সদস্যদের, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে অক্ষত আছে তাদের অধিকাংশ সম্পত্তি, বিদেশে বসে আয়েশে কাটাচ্ছেন জীবন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার বর্ষপূর্তির কাছাকাছি এসে জনগণের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে একটি প্রশ্নÑ শেখ পরিবারের সদস্যরা কোথায়?
এছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়র তিনজন, সহযোগী সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন আরো তিনজন। কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যম সারির পদ-পদবি পেয়েছিলেন। এছাড়া সরকার থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন অন্য সদস্যরাও। তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বর্তমানে তাদের কারাগারে থাকার কথা থাকলেও এখনো তারা অধরা।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ধসে পড়ে শেখ পরিবারের ক্ষমতার মসনদ। গণভবনের পেছনের দরজা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা। সঙ্গে নেন একমাত্র বোন শেখ রেহানাকে। এ তথ্য ছড়িয়ে পড়তেই আকাশ, স্থল ও নদীপথে পালাতে শুরু করেন শেখ পরিবারের অন্য সদস্যরা। যারা তখন যেতে পারেননি তারা দেশেই ঘাপটি মেরেছিলেন। পরে তারাও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান। এরপর থেকে বহু আওয়ামী নেতাকর্মীও পালিয়েছেন, তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে নিজেদের অবস্থানও জানান দিচ্ছেন, কিন্তু শেখ পরিবারে অধিকাংশ সদস্য গোপন রাখছেন তাদের ঠিকানা। অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারের পতন আসন্ন দেখে ৫ আগস্টের আগেও কেউ কেউ দেশ ছাড়েন। ইতোমধ্যে এই পরিবারের প্রায় সব সদস্য বিদেশে পালিয়েছেন বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামরিক বিমানে করে পালিয়ে ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে যান। এরপর একাধিকবার তার স্থান পরিবর্তন করা হয় বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তাকে দিল্লিতে ভিভিআইপি এলাকা লুটেন্সে রাখা হয়। তিনি গত মার্চে কলকাতায় এসেছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলেও তার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে তিনি ভারত সরকারের কঠোর নিরাপত্তায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনার সর্বশেষ অবস্থান স্পষ্ট না হলেও তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি নিয়মিত ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে সরকারবিরোধী বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের পর থেকে মূলত লন্ডনে বসবাস করছিলেন। তবে গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী রেহানা বাংলাদেশ ও লন্ডনে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। দল ও সরকারের কোনো পদে না থাকলেও সব ক্ষেত্রেই তার নিয়ন্ত্রণ ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ, নির্বাচনি মনোনয়ন ও মন্ত্রিত্বে তার ‘কোটা’র বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট।
অতীতের রেকর্ড ভেঙে শেখ রেহানার কোটায় ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে আওয়ামী শিবিরে ব্যাপক আলোচনা আছে। জ্বালানি খাত, সড়ক ও সেতু বিভাগে ছিল তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। সবকিছুর কমিশন যেত ‘ছোট আপা’ নামে পরিচিত রেহানার কাছে। এসব কমিশনের লেনদেন হতো লন্ডনেই। সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময়ও তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। ওইদিন তিনি বোন হাসিনার সঙ্গে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে দুদিন অবস্থান করে লন্ডন চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংসহ দুর্নীতির দায়ে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক মামলাও হয়েছে।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হলেও তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সবকিছুই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। ‘ধর্ম অবমাননাকে’ সামনে এনে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হলেও মূলত তার চলে যাওয়ার পেছনে ছিলেন জয়। ‘জয় মামা’ ও তার সিন্ডিকেটের ব্যবসায় বাগড়া দেওয়ার কারণেই লতিফ সিদ্দিকীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ১৩টি বাড়ি ও শপিংমলের মালিকানা থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এর মধ্যে বিলাসবহুল দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়ে তা জব্দের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। ৫ আগস্টের পরে যুক্তরাষ্ট্রে বসে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে নানা বিষয়ে কথা বলেন জয়। প্রথমদিকে সামাজিক মাধ্যমে তিনি বেশি সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। তবে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি ও তার পরিবারের নানা ইস্যুতে এখনো স্যোশাল মিডিয়ায় সরব। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও গত জুনে তিনি তার মা হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ভারতে এসেছিলেন বলে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ও পাসপোর্ট পাওয়া জয় ৬ জুন ভারতে আসেন। তার মায়ের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট নিয়ে ভারত সফর করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নানা তথ্য গোপন করে এবং মায়ের প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ভারতেই অবস্থান করেন। তার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আপত্তি জানায় বাংলাদেশ সরকার। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। গত ১১ জুলাই থেকে ডব্লিউএইচও তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে। সুচনা ফাউন্ডেশনের নামে সরকারি কর ফাঁকিসহ পুতুলের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) পরিচালিত হয়। সিআরআইয়ে অনুদানের নামে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিআরআইয়ের নামে ট্যাক্স ফাঁকিরও অভিযোগ রয়েছে। সিআরআইয়ের মাধ্যমে তাদের ‘দলদাস’ গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে নির্বাচনের সময় অর্থ বিলি করার অভিযোগ রয়েছে।
রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ সংসদ সদস্য। দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই এমপি অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছিলেন। তবে তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠাতে এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন টিউলিপ।
রেহানার আরেক মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির অভিযোগ। রেহানাসহ তার সন্তানরা সবাই যুক্তরাজ্যে আছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত চলমান থাকা শেখ রেহানার পরিবারসহ শেখ হাসিনার সরকার সংশ্লিষ্টরা যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পদ বিক্রি, বন্ধক কিংবা হস্তান্তর করছে বলে গার্ডিয়ান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক যৌথ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে। ব্রিটেনের জমি নিবন্ধন প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে কেবল গত এক বছরে বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ লেনদেনের অন্তত ২০টি আবেদন জমা পড়েছে।
শেখ মুজিবের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের পাঁচ ছেলে। তারা খুলনা অঞ্চলের অঘোষিত অভিভাবক ছিলেন। নির্বাচনে প্রার্থিতা নির্ধারণ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সব ব্যবসা-বাণিজ্যে তাদের ছিল একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। তাদের মধ্যে দুজন গত সংসদেও এমপি ছিলেন। তারা হলেন শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময়ও শেষ দুই সংসদের এমপি। হেলাল, জুয়েল ও তন্ময় ভারতে আছেন বলে জানা যায়।
তাদের অপর তিন ভাই শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বেলালও সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে স্থলপথে ভারতে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। তবে, বর্তমানে তারা সবাই ভারতে অবস্থান করছেন, না দু-একজন অন্য কোনো দেশে গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম। দুজনই যুবলীগের সঙ্গে জড়িত। পারিবারিক প্রভাবে শেখ ফাহিম ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিও ছিলেন। পুলিশের বড় বড় বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতি এবং স্বাস্থ্যখাত ছিল শেখ সেলিমের দখলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেলিমের পরিবার ঢাকা ছেড়ে নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জে কয়েকদিন আত্মগোপনে ছিল। পরে সুযোগ বুঝে ভারতে পালিয়ে যায় তারা। সেলিম ভারত ও লন্ডনে যাওয়া আসার মধ্যে আছেন। সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে ভারতে বসে সদর আসনের সাবেক এই এমপি তা তদারকি করেছেন বলে জানা গেছে।
সেলিমের ভাই শেখ ফজলুল হক মণির দুই সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস। পারিবারিক পরিচয়ে হঠাৎ ২০১৯ সালে যুবলীগের চেয়ারম্যান হন পরশ। ৫ আগস্টের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। স্ত্রীসহ পরশকে কানাডায় দেখা যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শেখ হাসিনার পতনের দুদিন আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র ফজলে নূর তাপস ‘সরকারি’ সফরের নামে সিঙ্গাপুর চলে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। তিনি সিঙ্গাপুর থেকে দুবাই হয়ে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ক্যাসিনো কাণ্ডের সময় আলোচনায় এসেছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুর হয়ে দুবাইয়ে আছেন বলে শোনা যায়। ক্যাসিনোকাণ্ডে পদচ্যুত শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীও আত্মগোপনে আছেন।
শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনের এমপি ছিলেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটির শীর্ষ পদও আঁকড়ে রাখেন। তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় এই পরিবার ছিল বরিশাল অঞ্চলের রাজা। ৫ আগস্টের পরে হাসানাত আবদুল্লাহর মেজ ছেলে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ গত বছর ২৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছেন। হাসানাত আবদুল্লাহসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাদের অবস্থানের বিষয়ে দুটি অসমর্থিত তথ্য পাওয়া যায়।
একটি সূত্র জানায়, ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহকে নিয়ে হাসানাত গত অক্টোরের দিকে ভারতে পালান। অন্য একটি সূত্র জানায়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের মতো হাসানাতও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপনে আছেন।
শেখ হাসিনার ফুফাতো বোন শেখ ফাতেমা বেগমের এক ছেলে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। আরেক ছেলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসন থেকে টানা তিনবারের স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন। তারা দুজনই বর্তমানে ভারতে আছেন বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সশস্ত্রবাহিনীর কাছে ৬২৬ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ২২ মে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল। তবে ওই তালিকায় শেখ পরিবারের কারো নাম নেই।