Image description
 
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। তার তিন দিন পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‍নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এই সরকারের আগামী ৮ আগস্ট এক বছর পূর্ণ হবে। এরমধ্যে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির হাল কিছুটা ভালো হলেও সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। এ অবস্থায় জুলাই বিপ্লবের যে আকাঙ্ক্ষা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়া, দেশে পরিবর্তন আনা- সেটি করতে হলে ৩টি জায়গায় কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
 
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নিজের রচিত বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবর্তন নিশ্চিত করতে দায়িত্ববোধ সর্বজনীন করতে হবে। এককভাবে এই সরকার করতে পারবে না। তবে দেশে পরিবর্তন আনতে গেলে ৩টি জায়গায় কাজ করতে হবে। প্রথমত- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।এটি নিয়ে এখন বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত- সক্ষম রাষ্ট্র তৈরি করা। এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলেও তেমন কোনো আলোচনাই হচ্ছে না। তৃতীয়ত- গণতান্ত্রিক চর্চা। এক্ষেত্রে অতি ক্ষমতায়িত এক ব্যক্তি শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 
 
‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ শীর্ষক বইটির  প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম. হুমায়ুন কবির, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সমাজতত্ত্ববিদ খন্দকার সাখাওয়াত আলী, গবেষক ভূঁইয়া আসাদুজ্জামান এবং আলোঘর প্রকাশনার প্রকাশক মো. সহিদ উল্লাহ প্রমুখ।
 
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের মতে দেশের ব্যাংক খাত ঠিক করতে হলে ৩৫ বিলিয়ন প্রয়োজন। ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা কাটাতে এই অর্থ লাগবে। কিন্তু আমি বলেছি, এত টাকা কোথায় পাব। ব্যাংকের টাকা ৮০ ভাগ পাচার হয়েছে। খাদের কিনার থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ‘ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। গত ১৫ বছরে আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই। প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেকে বলে সব বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু সেটা সম্ভব না। এ জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।