Image description

‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যোমে বিনির্মাণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ছাত্রশিবির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম শাখার উদ্যোগে আশুলিয়ায় জুলাই শহীদদের স্মরণে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ ২৭ জুলাই (রবিবার) সকাল নয়টা থেকে জুলাই শহীদদের স্মৃতিতে আশুলিয়ার খাগান এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ছাত্রশিবিরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম শাখা। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পশ্চিম শাখার সভাপতি ও শাখা সেক্রেটারি সহ ড্যাফোডিল, সিটি ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতৃত্ববৃন্দ।

মেডিকেল ক্যাম্পে রক্ত পরীক্ষা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা সহ মেডিসিন, চর্ম ও গাইনী চিকিৎসক রয়েছেন। এতে আশুলিয়ার ড্যাফোডিল, মানারাত ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের সাধারণ জনগণও সেবা গ্রহণ করছে।মেডিকেল ক্যাম্প চলবে বিকাল পর্যন্ত। 

ছাত্রশিবিরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম শাখার সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘জুলাই শহীদদের সবচেয়ে বেশি নিজের মনে করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই শহীদদের স্মরণে ছাত্রশিবির, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম শাখা আশুলিয়া অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করেছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী সমস্যা সমাধানে কাজ করে। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অত্র মেডিকেল ক্যাম্পটি সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। এমনকি মেয়ে শিক্ষার্থী বোনদের জন্য পৃথকভাবে মহিলা চিকিৎসকদের ব্যবস্থা রেখেছি। ছাত্রশিবির শুধু তার ঐতিহ্যগত কর্মসূচিগুলো একে একে বাস্তবায়িত করছে, সামনেও করবে ইনশাআল্লাহ।’

শাখা সেক্রেটারি শান্ত তালুকদার বলেন, ‘এসব কর্মসূচি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। এমন আরও বহু চমকপ্রদ ও ছাত্রবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্তরের ছাত্রশিবির পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।’

মেডিকেল ক্যাম্প সম্পর্কে ড্যাফোডিলের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনগুলোর এসব কার্যক্রম পূর্বে ভীতিকর ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে ছাত্র সমাজকে বের হতে সুবিধা করবে। সকল ছাত্রসংগঠনের উচিত, প্রতিযোগিতা করে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কে কত বেশি অবদান রাখতে পারে তা করা। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্বে জড়ালে ছাত্ররাজনীতির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘৃণা তৈরি হবে, যা গত ১৭ বছর ছিল।’