
যোগ্য শিক্ষক পেতে প্রার্থীর লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে তিন বিভাগে এই নতুন নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে উপাচার্যের কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে এসে অনুধাবন করি যে শিক্ষক নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না এবং শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। যোগ্য শিক্ষক নিযুক্ত হচ্ছে না। ফলে আমরা কোয়ালিটি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে পারছি না। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিই যোগ্য শিক্ষক দিবো। সেজন্য সরকারি শিক্ষা সংস্কারের জন্য অপেক্ষা না করে আমরা জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে ৫৫৮তম সিন্ডিকেটে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় রদবদল করেছি।
তিনি বলেন, এই রদবদল করার আগে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রভাষক নিয়োগ করা হত, সেটা থেকে আমরা বেরিয়ে এসে লিখিত, প্রেজেন্টেশন এবং মৌখিক পরীক্ষা এই তিনরকম পরীক্ষা স্তরের মধ্য দিয়ে যারা ভালো করবে, তাদেরকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিন্ধান্ত সিন্ডিকেটে পাস করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আমরা আজ শনিবার পর্যন্ত তিনটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এর আগে গত ২৪ ও ২৫ তারিখ দুইটি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও যদি যোগ্য শিক্ষক না পাই, তাহলে আমরা পুনরায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবো।
নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার প্রশংসা করে এক শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থী বলেন, আগে শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে একজন প্রার্থীর সমস্ত যোগ্যতা যাচাই করে শিক্ষক দেওয়াটা আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হত। এই জিনিসটা এখন ফর্মালে নিয়ে এসে লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করা আমাদের জন্য ভালো খবর। এই পদ্ধতি যেন চালু থাকে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই)। এদিন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ইংরেজি বিষয়ে নিয়োগ পেতে চারজন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ইংরেজি বিষয়ে নিয়োগ পেতে পরীক্ষায় অংশ নেন ২৯ জন প্রার্থী। আর শনিবার (২৬ জুলাই) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অংশ নেন ৪২ প্রার্থী।