
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘উত্তরায় সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ডিক্লিয়ার্ড (ঘোষিত), যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, তাদের সংখ্যা ২৭ বলা হচ্ছে। বাট আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার ধারণা এবং বিশ্বাস, এই সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। হয়তো একদিন আমরা জানব, ইনশা আল্লাহ।
মঙ্গলবার বিকালে রংপুর সদরের মমিনপুর স্কুলমাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ জুলাই জামায়াতের ঢাকার মহাসমাবেশে মারা যাওয়া রংপুর মহানগর জামায়াতের রোকন শাহ আলম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে মমিনপুর স্কুল মাঠে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে আমরা নিজেরা চাঁদাবাজি করব না। কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেব না। এই বাংলাদেশে কোথাও আমাদের লোকেরা ঘুষ হাতে তুলে নেবে না এবং ঘুষের জন্য যে হাত বাড়াবে, তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে। এই বাংলাদেশই চাই।’ তিনি বলেন, ‘যদি সরকার গঠনের সুযোগ পাই, তাহলে যাঁরা মন্ত্রী হবেন, আগামী দিনে আমাদের কেউ সরকারি কোনো প্লট নেবেন না এবং বিনা ট্যাক্সের গাড়িতে চলবেন না।’
এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতের এক কর্মীর জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন জামায়াতের আমির। ওই কর্মী ঢাকার সমাবেশে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘উত্তরায় সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ডিক্লিয়ার্ড (ঘোষিত), যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, তাদের সংখ্যা ২৭ বলা হচ্ছে। বাট আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার ধারণা এবং বিশ্বাস, এই সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। হয়তো একদিন আমরা জানব, ইনশা আল্লাহ। তারা তাদের মা-বাবার বুকের খাঁচা ভেঙে চলে গেছে। এই সন্তানেরা আর তাদের মায়ের বুকে, বাবার বুকে আর ফিরে আসবে না। তারা কবরের বুকে আশ্রয় নিছে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তাদের জান্নাতবাসী করুন। তাদের মা-বাবার বুকে আল্লাহ প্রশান্তি দান করুন। এই শোককে সওয়ার তৌফিক দান করুক। আর যারা এখনো বেঁচে আছে, আল্লাহ তাআলা তাদের শিফা দান করুন।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সংগঠন হিসেবে কাল থেকে তাদের পাশে আছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা আছেন। ইতিমধ্যে সীমিত সামর্থ্যের ভেতরে আমরা আশা করেছি, যার যেখানে যেটা লাগবে, অর্থ লাগে অর্থ, রক্ত লাগে রক্ত, শ্রম লাগে শ্রম—যেটা যেখানে লাগে, ইনশা আল্লাহ, আমাদের সহকর্মীরা প্রস্তুত।’