Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘অনেক শাসন দেখেছি। এগুলো শাসন ছিল না, ছিল শোষণ। আমরা এখন সৎ শাসক চাই। কোরআনের শাসন চাই। দ্বীনের পথে লড়তে চাই জীবনের শেষ শ্বাস পর্যন্ত। আর বিদায় নিতে চাই শহীদ হয়ে। রক্তের চাদর গায়ে দিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই। ইয়া মাবুদ তুমি বাংলাদেশে কোরআনের শাসন দাও।’

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসা ময়দানের পথসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। 

দাকোপ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা জি এম আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা অহিদুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে দুই বার অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সেদিনই তো আমি চলেই গিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ইন্তেকাল করেছেন। ডাক্তাররা বলছেন, আরও ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যারা হাসপাতালে আছেন আল্লাহ তাদেরকে সুস্থ করে তুলুন। তাদেরকে আপনজনের বুকে ফিরিয়ে দিন।’

এর আগে ডা. শফিকুর রহমান সকাল ১০টার দিকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার চালনার বি এম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। সেখান থেকে দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির শহীদ মাওলানা আবু সাঈদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

পরে তিনি চালনা সরকারি পৌর কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করেন। মাওলানা আবু সাঈদ এর কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দুর্ঘটনায় আহত মাওলানা আনিসুর রহমান ও কামাল হোসেনকে দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ নেন। এ সময় তিনি তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন। 

দুপুরে বি এম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে জামায়াত আমির পাবনার ঈশ্বরদীতে শহীদ মোস্তাফিজুর রহমান কলমের বাড়ির উদ্দেশে দাকোপ ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ-এ যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গার চৌরাস্তা মোড়ে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে রয়েল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ (৫২) মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান ও ইকবাল হোসেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চালনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।