Image description

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এ ঘটনায় ওই নেতাকে মারধর ও গুম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) পটুয়াখালীর বাউফল থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। 

জিডির বিষয়টি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, পটুয়াখালীর বাউফলে মারধর ও গুমের হুমকি দেয়ার অভিযোগে সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরসহ দুজনের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। 

জানা গেছে, শুক্রবার বাউফল সদর ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মহিবুল্লাহ বাদী হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ার কারনে তাকে মারধর করা হয় এবং গুম করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই বিএনপি নেতা।

জিডিতে বিএনপি নেতা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুস সোবাহান প্যাদা ও ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ভাই আজাদ খানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। বিলবিলাস বাজারে রহিম গাজীর চায়ের দোকানের সামনে মারধর করা হয় বলে জিডিতে বলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপি নেতা এবং  জামায়াতের নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে বাজারের লোকজন সবাই তাদের দুজনকে শান্ত করেন। 

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুস সোবাহান প্যাদা বলেন, মারধর ও হুমকির বিষয় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তায় তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাদের ক্ষমতাই এইটুক। 

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজারে বিরোধ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে মারামারি এবং হুমকির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।